Murshidabad News : পরপুরুষের সঙ্গে ছবি ভাইরাল! রেগে টং স্বামীরা, তালাকের হুমকি – jalangi village woman are in trouble for took pictures with tmc party workers


এই সময়, জলঙ্গি: হিতাকাঙ্খীদের অতি উৎসাহ এখন ফাটল ধরিয়েছে গার্হস্থ্য সম্পর্কে! তৃণমূলের সুরক্ষা কবচ (Didir Suraksha Kawach) কর্মসূচিতে গিয়ে দলের কর্মীরা গ্রামের বধূদের সঙ্গে ছবি তোলায় বেকায়দায় পড়েছেন ওই মহিলারা। জলঙ্গি থানার (Jalangi Police Station) চোঁয়াপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কীর্তনেরপাড়া গ্রামের বেশ কিছু পরিবারের অভিযোগ এমনই।

TMC Group Conflict : ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে ডাক না পাওয়ায় ক্ষোভ, বাঁকুড়ায় প্রকাশ্যে শাসকদলের কোন্দল
ওই গ্রামের কেউ কেরালা, কেউ বেঙ্গালুরুতে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। বাড়িতে ফেরেন ন’মাসে-ছ’মাসে। স্ত্রীরা সন্তানদের নিয়ে গ্রামে একাই থাকেন। স্বামীদের পাঠানো টাকায় চলে সংসার। সুরক্ষা কবচ কর্মসূচির (Didir Suraksha Kawach) অঙ্গ হিসেবে কয়েক দিন আগে কীর্তনেরপাড়া গ্রামে যান শাসকদলের কর্মীরা। আবাস যোজনায় (Pradhan Mantri Awas Yojana) ঘর পাওয়ার যোগ্য উপভোক্তাদের সঙ্গে ছবি তোলেন তাঁরা। পরে তা দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আপলোড করেন। বাড়ির বধূদের সঙ্গে তোলা সেই ছবি কোনওভাবে ভাইরাল হয়ে পৌঁছে যায় স্বামীদের কাছে। তাতেই বেজায় চটেছেন তাঁরা। কেউ টাকা পাঠানো বন্ধ করেছেন, তো কেউ তালাকের হুমকি দিয়েছেন। অনেক যুবক আবার কর্মস্থল থেকে তড়িঘড়ি বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে ‘টাইট’ করাও শুরু করেছেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় অবশ্য অন্যদলের উস্কানি রয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের।

Didir Doot : ‘ফিরিয়ে দিন বৌমাকে!’ শাশুড়ির আর্জি শুনে হতবাক ‘দিদির দূত’ জ্যোতিপ্রিয়
কয়েক দিন আগে সুরক্ষা কবচ (Didir Suraksha Kawach) কর্মসূচিতে কীর্তনেরপাড়া গ্রামে গিয়ে বাড়ির মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূল কর্মীরা। সমস্যার কথা শুনে তাঁদের সঙ্গে ছবি তুলে তা মোবাইলে আপলোডও করেন তাঁরা। কেউ বা কারা দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেওয়া সেই ছবি আবার বিভিন্ন গ্রুপে ছড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ। ভাইরাল হওয়া সেই ছবিকে কেন্দ্র করেই বেকায়দায় পড়েছেন গ্রামের মহিলারা। কেন? আমিনা বিবি (নাম পরিবর্তিত) বলেন, “আমার স্বামী কেরালায় কাজ করেন। বাড়িতে দুই সন্তানকে নিয়ে একা থাকি। দু’দিন আগে তৃণমূল দলের কয়েকজন এসে বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে আমার সঙ্গে ছবি তোলেন। আমার আধার কার্ডের নম্বরও নেন তাঁরা। কিন্তু সেই ছবি কী করে আমার স্বামীর কাছে পৌঁছে গিয়েছে বলতে পারব না। পর পুরুষের সঙ্গে আমার ছবি কেন, এই প্রশ্ন তুলে স্বামী আমাকে তালাক দেবে বলেছেন।”

তাঁর স্বামী অতটা কড়া না-হলেও গত সাতদিন ধরে বাড়িতে ফোন না-করায় চিন্তায় পড়েছেন সেলিনা। এদিন তিনি বলেন, “আবাস যোজনায় ঘরের জন্য কয়েকজন তৃণমূল কর্মী আমার সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছিলেন। স্বামী ফেসবুকে সেই ছবি দেখে আমাকে ভুল বুঝেছেন। বাড়িতে খুব অশান্তি চলছে।” আনসুরা বিবির (নাম পরিবর্তিত) স্বামী তো বেজায় চটে হুমকি দিয়েছেন, “ঘরের জন্য যখন ছবি তোলা হয়েছে, তখন সরকারি ঘর না পেলে তাঁকে বাড়িতেই রাখবেন না।” তবে দলের কর্মীদের ‘দোষ’ না দেখে বিরোধীদের উপরে দায়ভার চাপিয়েছেন দক্ষিণ জলঙ্গির তৃণমূল সভাপতি মোহিত দেবনাথ। তিনি বলেন, “বিরোধীদের উস্কানিতেই গ্রামবাসীরা এই অভিযোগ করেছেন।” চোঁয়াপাড়া পঞ্চায়েতের প্রধান রাকিবুল ইসলাম বলেন, “তৃণমূলের কর্মীরা দিদির দূত হিসেবে গ্রামের সমস্ত বুথে বুথে যাচ্ছেন। খবর নিয়ে জেনেছি, কীর্তনেরপাড়া গ্রামের ওই মহিলারা কংগ্রেস ও সিপিএমের সমর্থক। পরিকল্পতভাবে বদনাম করতে এই মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।”

Didir Suraksha Kawach : ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে বিক্ষোভ, অভিযোগ শুনতে হল পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ককে
CPIM-র জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, “বাড়িতে স্বামী নেই। সেই সুযোগে মহিলাদের সঙ্গে ছবি তুলে সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে অন্যায় কাজ করেছে তৃণমূল। সরকারি ঘর দেওয়ার জন্য ছবি তোলার দায়িত্ব তৃণমূল কর্মীদের নয়। ওই কাজ সরকারি কর্মীদের।” প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র মহফুজ আলম ডালিম বলেন, ‘ঘর দেওয়ার নাম করে পরিবারে অশান্তি লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *