এদিন আসানসোল আদালতে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ জানায় সিবিআই। আদালতে কেন্দ্রীয় সংস্থা দাবি করেছে আরও ১১৫টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। সিবিআই আদালতকে জানিয়েছে, ওই ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলি থেকে চারটি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে নিয়মিত টাকা পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আদালতকে জানিয়েছে, করোনা অতিমারির সময় দু’দিনের মধ্যে এই ১১৫টি ব্যাঙ্ক অ্যকাউন্ট খোলা হয়েছিল এবং এই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ রাজীব ভট্টাচার্যের অ্যাকাউন্টে ৬৬ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে। সিবিআই আদালতে দাবি করেছে, গোরুপাচারের টাকাই এই অ্যাকাউন্টগুলিতে রাখা হয়েছিল। তদন্তকারী সংস্থা আদালতকে জানিয়েছে, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরির জন্য পঞ্চায়েত অফিসে জমা হওয়া নথি থেকে এই ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হয়েছে। জেলে গিয়ে অনুব্রতকে জেরা করার আবেদন জানিয়েছিল সিবিআই, সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। আদালত জানিয়েছে, তাঁর জেল হেফাজত চলকালীন যে কোনও একদিন তাঁকে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই।
অন্যদিকে গোরুপাচার মামলার তদন্তে ইতিমধ্যে তৎপরতা বাড়িয়েছে সিবিআই। রামপুরহাটের অস্থায়ী ক্যাম্পে লপুরের বাহিরি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শুভঙ্কর ঘোষ ওরফে ভজন, বোলপুরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অর্ক দত্ত ও বিজয় রজক নামে পরিচিত চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের কোটি কোটি টাকা লটারি জেতার নেপথ্যে রয়েছেন শুভঙ্কর ঘোষ ওরফে ভজন। তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতির নামের বেনামি গাড়ি কিনেছিলেন কেষ্ট, তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। অন্যদিকে অর্ক দত্ত নামের তৃণমূলকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট হাতে পেয়েছেন তদন্তকারী। এই মামলা আগামী দিন কোন দিকে যায় সেটাো