শুক্রবার বেঙ্গল সাফারি পার্কে একটি আলোচনায় বসেছিলেন বনদফতরের আধিকারিকেরা। সেখানে বিভিন্ন প্রসঙ্গে কথা হওয়ার পাশাপাশি ভীমের প্রসঙ্গেও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভীমের সঙ্গিনী খোঁজ পেতে বন দফতরের আধিকারিকরা তৎপরতা দেখালেও এখনও কোনও খোঁজ মেলেনি। শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবও শুক্রবারের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ভীমের সঙ্গিনীর বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন শিলিগুড়ি মহানাগরিকও। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘বেঙ্গল সাফারি পার্কে একটি একশৃঙ্গ গণ্ডার রয়েছে। তাঁর সঙ্গী হিসেবে আরও একটি গণ্ডার যাতে আনা যায় তা দেখা হচ্ছে।’ অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ, উত্তরবঙ্গ) রাজেন্দ্র জাখর এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘বেঙ্গল সাফারি পার্কে আরেকটি গণ্ডার আমরাও আনতে চাইছি। এই বিষয়ে ডিরেক্টেরের সঙ্গেও কথা হয়েছে। আরেকটি গণ্ডার আনার ব্যাপারে প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আরও বন্যপ্রাণী আনার ব্যাপারে চিন্তা চলছে। বেঙ্গল সাফারি পার্কে হগ ডিয়ার, ব্ল্যাকবাক আনা হতে পারে।’
কিছুদিন আগে বেঙ্গল সাফারি পার্কে এসেছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি জানিয়েছিলেন, বেঙ্গল সাফারি পার্কে সিংহ, জিরাফ, জেব্রা আনার পরিকল্পনা রয়েছে বন দফতরের। মন্ত্রী বলেন, ‘অনুমতি মিলে গেলেই এই বন্যপ্রাণীগুলি অন্যান্য চিড়িয়াখানা থেকে আনা হবে বেঙ্গল সাফারি পার্কে। এছাড়াও চলতি বছরে ব্যাপক ভিড় হয়েছে এই পার্কে। অন্যান্যবারের তুলনায় আয় বেড়েছে অনেকটাই।’ পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য বেঙ্গল সাফারিকে আরও নতুনভাবে সাজিয়ে তোলার কাজও করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বনকর্তারা।