এই ৩০ শতাংশ মানুষ যদি পিছিয়ে থাকেন, রাজ্য এগোবে কী ভাবে? সারা দেশে সংখ্যালঘুদের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) কত পরিকল্পনা করছেন। বিশেষ করে গরিব কল্যাণ যোজনার সব থেকে বেশি সুবিধা গরিব সংখ্যালঘুরা পেয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে এরা বঞ্চিত”। এখানেই না থেমে দিলীপ আরও বলেন, “সংখ্যালঘুদের এতদিন BJP সম্পর্কে ভয় দেখানো হয়েছে। বলা হয়েছে BJP এলে কী না কী হয়ে যাবে। অথচ সারা দেশে BJP এসে গিয়েছে। শিক্ষা স্বাস্থ্য থেকে এতদিন তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। তাদের হাতে ইচ্ছাকৃত ভাবে বোমা বন্দুক তুলে দেওয়া হয়েছে। তাদের এবার ভাবতে হবে, তারা মোদিজীর (Narendra Modi) সঙ্গে থেকে সুবিধা পাবেন, না দিদির সঙ্গে থেকে আজীবন গরিব হয়ে জীবন যাপন করবেন”।
এদিন শুধু সংখ্যালঘুদের নিয়েই নয়, দিলীপ কথা বলেন সদ্য পেশ হওয়া বাজেট নিয়েও। দু’দিন আগেই পেশ হওয়া কেন্দ্রীয় বাজেটে আবাস যোজনায় (Pradhan Mantri Awas Yojana) বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত কি পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের কথা মাথায় রেখে? এই প্রশ্নের উত্তরে দিলীপের সোজাসাপটা জবাব, “এটা শুধু পশ্চিমবঙ্গের জন্য নয়। মানছি এই রাজ্যে হাঁড়ির হাল। কিন্তু এখানকার মানুষও তো ট্যাক্স দেন। কেন্দ্রীয় সরকার সবার সরকার। সবকা সাথ, সবকা বিকাশ। মমতাকে ভোট দিয়েছেন বলে পশ্চিমবঙ্গ সমস্ত সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে, এটা মোদিজীর (Narendra Modi) নীতি নয়। মা সেই বাচ্চার দিকে বেশি খেয়াল রাখে, যে বাচ্চা দুর্বল। দুর্বল এবং অসুস্থ পশ্চিমবঙ্গের দিকে মোদিজীর বেশি খেয়াল আছে”।
এছাড়াও দিলীপ এদিন মালদা (Malda) জেলায় মিড ডে মিলে (Mid-day Meal) পচে যাওয়া ভাত দেওয়া নিয়েই কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। শিশুরা আমাদের ভবিষ্যৎ। কেন্দ্র মিড ডে মিলে (Mid-day Meal) কোটি কোটি টাকা খরচা করছে। যাতে গরীব বাচ্চারা লেখাপড়া করতে স্কুলে আসে। আর এই রাজ্যে তাদের উচ্ছিষ্ট খাওয়ানো হচ্ছে। কারা এরা? কি ধরনের লোক এরা? আর এসব খতিয়ে দেখতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল এলে তার বিরোধিতা করা হচ্ছে। ওই লোকগুলোই বিরোধিতা করছে, যারা বাচ্চাদের উচ্ছিষ্ট খাওয়ায়। এসব সমাজবিরোধী আজ তৃণমূলের নেতা। তাদের কাছে কোনও মানবিকতা বা ভাল কিছু আশা করা যায়না। তাই এই ধরনের ঘটনা ঘটেই চলেছে”।