ধর্মতলা আইএসএফের অবরোধ প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, ‘সেদিন পুলিশের উপর আঘাত হয়েছে, সেই কারণে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, পরবর্তীকালে লালবাজারে হাতে যে তথ্য এসেছে তা অবাক করে দেওয়ার মতো। নওশাদ সিদ্দিকির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, সেই টাকা কে দিয়েছে? ভোটের আগে কেন এই টাকার লেনদেন? আমরা তো জানতাম সিপিএমের সঙ্গে আইএসএফের সমঝোতা ছিল। বিজেপির সঙ্গে সমঝোতা কী করে হল? পুলিশি তদন্তে বিজেপির শীর্ষনেতাদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের তথ্যও পাওয়া গিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের কোন অফিসারকে সরাতে হবে, সেই নিয়ে কথা হয়েছে।’ শুভেন্দু অধিকারী কেন প্রকাশ্যে নওশাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ফিরহাদ। ফিরহাদ বলেন, ‘নওশাদ সিদ্দিক বিজেপির বি-টিম হিসেবে কাজ করছেন। একজন ধর্মগুরুর সন্তান হয়ে তিনি এই কাজ করছেন একথা ভাবতেও আমার দুঃখ লাগছে।’
নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারি নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। ২১ জানুয়ারি ধর্মতলা থেকে আইএসএফ বিধায়ককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে ভাঙড়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে আইএসএফ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়। ভাঙড়ের হাতিশালার সংঘর্ষের ঘটনায় ভাঙড়ের বিধায়ককে ৬ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বারুইপুর আদালত। এই প্রসঙ্গে আদালত থেকে বেরনোর সময় নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, ‘নোংরা রাজনীতি শিকার হচ্ছি। প্রতিবাদ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াতে হোক। কারণ আমি গণতান্ত্রিক লড়াই করার জন্য রাজনীতিতে এসেছি।’