এ দিন যেমন মানিকতলার শুভম চক্রবর্তী সপরিবারে বইমেলায় এসেছিলেন। তাঁর কথায়, “চারটি স্টল থেকে বই কিনেছি। কেউই কিন্তু প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ দেননি।” সোদপুরের একটি স্কুলের জীববিদ্যার শিক্ষিকা সোমলতা চক্রবর্তীর অভিজ্ঞতা, “প্লাস্টিকের ব্যবহার অন্যান্য বারের চেয়ে এ বারের বইমেলায় তুলনামূলক ভাবে কমই চোখে পড়ছে। এটা দেখে ভালো লাগছে।”
বইমেলার আয়োজক পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সভাপতি সুধাংশুশেখর দে বলেন, “বইমেলাকে প্লাস্টিকমুক্ত করতে বইপ্রেমী ও বিক্রেতাদের কাছে প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার না-করার আবেদন জানানো হয়েছিল। আমরা ক্রেতাদের বাড়ি থেকেই কাপড় বা কাগজের ব্যাগ নিয়ে আসতে অনুরোধ করেছিলাম। তাতে অনেকেই সাড়া দিয়েছেন।” বুক ফার্ম প্রকাশন সংস্থার সহ-প্রকাশক শান্তনু ঘোষ বলছেন, “প্রায় সব স্টলেই কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে। তা ছাড়া, বিধাননগর পুরনিগমের পক্ষ থেকে লাগাতার অভিযান চলছে। যার ফলে নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের ব্যবহার এ বার অনেকটাই কম।”
বিধাননগর পুরনিগমের পরিবেশ বিভাগের তরফেও চলছে দোকানে দোকানে সারপ্রাইজ় ভিজিট। তবে অন্যান্য বারের তুলনায় নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের ব্যবহার এ বার খুবই কম বলে বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র পারিষদ (পরিবেশ) রহিমা বিবির দাবি। তাঁর বক্তব্য, “মঙ্গলবার মেলা শুরু হয়েছে। ওই দিন থেকেই আমরা দোকানে দোকানে হানা দিচ্ছি। তবে অধিকাংশ দোকানই কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করছে।”
জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের এক কর্তা বলেন, “এ বার কলকাতা বইমেলায় পরিবেশ বান্ধব প্লাস্টিকের পাউচে জল বিলির ব্যবস্থা হয়েছে।” বইমেলা চত্বরে যাতে বাতাসের দূষণ নিয়ন্ত্রণে থাকে, সেই জন্য ধুলো কমাতে প্রতিদিন মেলা শুরুর আগেই সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কের আশপাশের তল্লাটে জল ছেটাতে শুরু করেছে পরিবেশ দপ্তর। বইমেলা চত্বরেও নিয়মিত ছেটানো হচ্ছে জল। প্রশাসনের এই উদ্যোগকে পরিবেশপ্রেমীরা স্বাগত জানিয়েছেন।