স্থানীয়দের দাবি, গত শনিবার গ্রামেরই বাসিন্দা রিপণ সিংহকে সৌরভের অতৃপ্ত আত্মা ভর করেছিল। তার জেরে রিপণ ভুলভাল বকা শুরু করেছিল। অসংলগ্ন অবস্থায় পরিবারের কাউকে চিনতে পারছিল না বলেও দাবি করে তাঁর পরিবারের লোকজন। রিপণকে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরাতে অবশেষে শনিবার রাতে ওঝা ডাকা হয়। রিপনের মা জানিয়েছেন, শনিবার রাতে তাঁর ছেলে একটি অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফিরে অস্বাভাবিক আচরণ করে। রিপণের শরীরে এত শক্তি সঞ্চার হয়েছিল যে বেশ কয়েকজন যুবক তাঁকে নাকি ধরে রাখতে পারছিলেন না। তবে তাঁকে ঝাড়ফুঁক করার পরে এখন সে সুস্থ হয়েছে। এখানেই শেষ নয়। সৌরভের অনেক যুবক বন্ধুকে রাতে ঘুমের মধ্যে দেখা দিচ্ছে বলেও অনেকে দাবি করেন। এলাকার বেশ কয়েকজন যুবক রীতিমতো আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। ভূতের হাত থেকে রক্ষা পেতে পকেটে করে রসুনের কোয়া নিয়ে ঘোরাফেরা করছেন তাঁরা।
গ্রাম জুড়ে আতঙ্ক তৈরি হওয়ার পর অবশেষে অতৃপ্ত আত্মাকে বিনাশ করতে গ্রামবাসীরা সৌরভের বাবার কাছে গয়ায় গিয়ে পিণ্ড দেওয়ার কথা বলেছেন। বিদ্যুৎ সরকার সেই দাবি মেনে নিয়েছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সমালোচনা করেছেন বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সংস্থার সদস্যরা। প্রয়োজনে গ্রামে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলে বোঝানোর ব্যাপারেও উদ্যোগী হবেন বলে জানানো হয়েছে।বেতাইয়ের সাধু বাজারের ভৌতিক আতঙ্কের ঘটনায় তেহট্ট ১ নম্বর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক শুভাশিস মজুমদার জানান, বিষয়টি শুনেছি তবে এখনো পর্যন্ত লিখিত আকারে আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। কেউ যদি লিখিত অভিযোগ করে তারপর প্রশাসনিক স্তরে আমরা ব্যবস্থা নেব।