শুভাশিস মণ্ডল: গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে তুলকালাম হাওড়ার জয়পুর। প্রতিবেশী যুবকের ব্ল্যাকমেলে অতিষ্ট হয়েই ওই গৃহবধূ আত্মঘাতী হয়েছেন বলে দাবি প্রতিবেশীদের। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তায় মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসী।
আরও পড়ুন-হোলির পরই বড় ঘোষণা, বাড়তে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেসিক বেতন!
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতিবেশী যুবক গণেশ হাজরা ওই গৃহবধূকে ব্ল্যাকমেল করে করে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হত। এনিয়ে পরিবারে অশান্তি লেগেই থাকত। কিন্তু তা নিয়ে পরিণতি যে এই জায়গায় দাঁড়াবে তা কল্পনাও করতে পারেননি মৃতার স্বামী সঞ্জয় ঘোষ। তাঁর দাবি প্রতিবেশী য়ুবক গণেশ হাজরা তাঁর স্ত্রীকে ব্ল্যাকমেল করত।
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে শনিবার সন্ধেয়ে ঘরে কেউ না থাকার সুয়োগ নিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয় ওই গৃহবধূ। ঘটনা জানাজানি হতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। গ্রাম লোক জড়ো হয়ে গণেশের শাস্তির দাবি করতে থাকেন। তারা মৃতদেহ নিয়ে চলে আসেন জয়পুর-বাগনান রাজ্য সড়কে। রাস্তার উপরে মৃতদেহ রেখে যান চলাচল অচল করে দেন। খবর পেয়ে ছুটে আসে জয়পুর থানার পুলিস।
মৃতার স্বামী সঞ্জয় ঘোষ বলেন, গণেশ হাজরা দীর্ঘদিন ধরে আমার স্ত্রীকে ব্ল্যাকমেল করে আসছিল। সম্প্রতি এখন আমরা সঙ্গে ঘরে একসঙ্গে থাকত না। প্রায়ই ও স্ত্রীকে মারধর করত। গতকালও স্ত্রীকে মেরেছে। কাজের সূত্রে বাইরে ছিলাম। তার মধ্যেই এসব হয়েছে। আজ ও স্বাভাবিকই ছিল। বাজার করেছি। ও রান্না করেছে। আমাকে খাবার দিয়েছে। সন্ধেবেলা বাজারে গিয়েছি, আমার এক বন্ধু এসে বলল তুই এক্ষুনি বাড়ি চলে যা। দৌড়ে বাড়ি এসে দেখছি ও ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে। দিনের পর দিন গণেশ আমাকে হুমিক দিত। মারধর করব, ঘর জ্বালিয়ে দেব এসব বলতো। আমি চাইছি ও শাস্তি পাক।