West Bengal Local News: শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে তৃণমূলরে জনসভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে মাঝ রাস্তায় নেমে পড়েন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। খড়গপুর গ্রামীণ বিধানসভার বড়কোলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মতকারপুর গ্রামে ঢুকে পড়েন তিনি। স্থানীয় গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের যাবতীয় অভাব অভিযোগের কথা শোনেন তৃণমূলের ‘নম্বর টু’। গ্রামবাসীদের কেউ অভিষেকের কাছে আবাস যোজনার বাড়ি না পাওয়ার অভিযোগ করেন, কেউ আবার তাঁকে জমির পাট্টা না পাওয়ার কথাও জানান। গ্রামবাসীদের একটা বড় অংশ তৃণমূল নেতাকে বলেন, জমির পাট্টা পাওয়ার জন্য আবাস যোজনার বাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ যে জমির উপর তাদের বসত বাড়ি তা রাজ্য সরকারের সেচ দফরতরের অধীনে। গ্রামবাসীরা অভিষেককে জানান, ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তাঁরা এখানে বসবাস করছেন এবং সব মিলিয়ে মোট ৯০টি পরিবার এই জমিতে বসবাস করেন। জেলাশাসকের কাছে সকলে মিলে চিঠি দিয়ে পাট্টার আবেদন করেছেন বলেও গ্রামবাসীরা অভিষেককে জানান।
Paschim Medinipur News: ‘আঙুল নেই, আধার কার্ড করব কী ভাবে?’, ফ্যালফ্যাল চোখে জেলাশাসককে প্রশ্ন কুষ্ঠ কলোনির বাসিন্দার
স্থানীয় নেতৃত্বও তাদের কোনও সাহায্য করেননি বলে তৃণমূল সাংসদকে জানান গ্রামবাসীরা। তাদের সঙ্গে কথা বলে জমির পাট্টার সমস্যা সমাধানের জন্য সেখান থেকে সটান সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে ফোন করেন অভিষেক। মন্ত্রীকে ফোনে অভিষেক বলেন, ‘পার্থদা…. আমি কেশপুরে একটা মিটিং করতে যাচ্ছিলাম। তখন বড়কোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মতকারপুর গ্রামে এসেছিলাম। সেখানে নেমে আমি দেখলাম দীর্ঘদিন ধরে এখানে ৯২-৯৩টি পরিবার বসবাস করে। এই জমিটা সেচ দফততের জমি। বহুদিন ধরে পাট্টার জন্য আবেদন করেও কোনও কাজ হয়নি। তুমি দায়িত্ব রয়েছ, তাই তোমাকে জানিয়ে রাখলাম। নিয়ম মেনে এদের বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে একটু দেখলে ভালো হয়, যাতে পরিবারগুলিকে পাট্টা দেওয়া যেতে পারে। আবাস যোজনার মতো কোনও সুযোগ পাচ্ছে না।’ মন্ত্রী নিজে বিষয়টি দেখবেন বলে অভিষেক আশ্বাস দিয়েছেন। অভিষেকের এই উদ্যোগে স্বভাবতই খুশি গ্রামবাসীরা।
Mamata Banerjee on PM Awas Yojana: ‘একটা স্কুটি থাকলেও বাড়ি হবে না তবে পাবেটা কে?’ আবাস যোজনার শর্ত নিয়ে প্রশ্ন মমতার
আগেও একাধিকবার জনসভায় যাওযার পথে গাড়ি থেকে নেমে সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ সেরেছেন অভিষেক। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে জনসভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে মারশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতে ঢোকেন অভিষেক। স্থানীয় গ্রামবাসীরা পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। জনসভার মঞ্চ থেকে তাঁদের ও স্থানীয় ব্লক সভাপতিকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন অভিষেক।