বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গণেশ বিশ্বাস এদিন বলেন, ‘পুলিশ তদন্তে নেমে মৃতের বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াতকারী গৌতম মাঝি নামে একজনকে আটক করে। তাঁকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করেই রহস্যের সমাধান হয়। জেরার মুখে খুনের কথা স্বীকার করে সে। খুন হওয়া মাছ ব্যবসায়ী বিনোদ দলুইয়ের স্ত্রীর সাথে ধৃত গৌতম মাঝির বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। প্রেমিকার স্বামীকে পথের কাঁটা বলে মনে করতে শুরু করে গৌতম। সেই কারণে তাঁকে বাড়িতে ডেকে এনে খুন করা হয়। তবে এই ঘটনা এখনও মৃতের স্ত্রী’র জড়িত থাকার কোনও যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তিকে এদিন বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে আদালতে তোলা হয়। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন ধৃতের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হবে।
পুলিশ সুপার বলেন , ‘গৌতমের একটি ইমিটেশনের দোকান রয়েছে। প্রতিনিয়ত গৌতমের সঙ্গে বিনোদের স্ত্রীর ফোনে কথাবার্তা চলত। সেখান থেকেই ওদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। দীর্ঘদিন ধরে বিনোদের বাড়িতে যাতায়াত ছিল গৌতমের। বিনোদ তাঁদের আচার আচরণে বদল লক্ষ্য করেন। গৌতমকে বাড়িতে আসতে বারণ করেছিল বিনোদ। প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়ানোর কারণে বিনোদকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। সমঝোতার কথা বলে বিনোদকে ডেকে এনে খুন করে বিনোদ। লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। বিনোদ অচৈতন্য হয়ে পড়লে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য গলায় থাকা মাফলার দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়।’