কলকাতার ধূমপায়ীদের অনেকেই এই সিগারেটের মূল্যবৃদ্ধির শিকার হচ্ছে। শুধু তাই নয়, পছন্দের সিগারেট ‘বাল্ক’(একসঙ্গে অনেকগুলি প্যাকেট) কিনতে গেলেও প্রত্যাখ্যাত হতে হচ্ছে অনেককেই। এই প্রসঙ্গে ট্যাংরার বাসিন্দা নবীন সিং বলেন, “শুক্রবার আমি পাড়ার একটি দোকানে সিগারেট কিনতে গিয়েছিলাম। তিন প্যাকেট সিগারেট চাওয়ায় আমাকে তা দিতে অস্বীকার করেছিল দোকানদার। সেক্ষেত্রে বেশি দাম দিয়ে সিগারেট কেনার কথা বলা হয়- প্যাকেটপ্রতি ১২ টাকা।” কলকাতা লাগোয়া এলাকার সিগারেট ডিলার বিমল সিং বলেন, “আমাদের কাছে কোনওভাবেই দাম বাড়ার কোনও নির্দেশ নেই। পুরনো দামেই সিগারেট বিক্রি করা হচ্ছে। যদি সিগারেটের দাম বাড়ে সেক্ষেত্রে কিং সাইজে বৃদ্ধি পাবে। সাপ্লাইও ঠিক রয়েছে।”
সিগারেট সরবরাহের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই, বিতর্কের মধ্যেই স্পষ্ট দাবি করেন বর্ধমানের সিগারেট ডিলার দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই সিগারেট ‘হাহাকার’-এর নেপথ্যে হোলসেল মার্কেটের অসাধু ব্যবসায়ীদের একটি অংশ রয়েছে বলে মতামত তাঁর। তিনি বলেন, “জেলায় এই সমস্যা অপেক্ষাকৃত কম। সিগারেটের দাম বৃদ্ধি নিয়ে আমাদের কাছে এখনও কোনও নির্দেশ আসেনি।” বাজেটের পর চাহিদার ক্ষেত্রেও গ্রাফ স্থির রয়েছে বলে দাবি তাঁর।
অন্যদিকে, শিলিগুড়ির সিগারেট ডিলার মনোজ সিং অবশ্য ‘ম্যান মেড ক্রাইসিস’-এর কথা স্বীকার করেন। তিনি ক্ষোভ উগরে বলেন, “কিছু কিছু ছোট দোকান ইচ্ছাকৃতভাবে সিগারেটের দাম বেশি নিচ্ছে। বাজেটে শুল্ক বৃদ্ধির বিষয়টি জানার পরেই স্বেচ্ছাচারিতায় নেমেছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এই বিষয়টির দিকে আমরাও নজর রাখছি।” কোনওভাবেই অধিক দামে তিনি সিগারেট বিক্রি করতে দেবেন না বলে জানান মনোজ। তাঁর কথায়, “আমরা পুরনো দামেই সমস্ত দোকানদারদের সিগারেট দিচ্ছি। পর্যাপ্ত সাপ্লাই রয়েছে। সেক্ষেত্রে কেন তাঁরা সিগারেট বিক্রি বন্ধ রাখবে বা দাম বাড়াবে? আমাদের সুপারভাইজাররা শিলিগুড়িতে এই বিষয়ে নজরদারি চালাচ্ছে।”