পাশাপাশি নয়া শিক্ষানীতি দেশকে আরও উন্নয়নের পথে নিয়ে যাবে বলে মত পোষণ করেন তিনি। একই সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীদের মোটিভেট করতে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সঙ্গে তাদের তুলনার পাশাপাশি নানা বিষয়ের উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়াও বাংলার বীর সন্তান নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, স্বামী বিবেকানন্দের প্রসঙ্গও বক্তব্যে সুন্দরভাবে তিনি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “এই বাংলা দেশের অনেক বীর সন্তানদের জন্ম দিয়েছে। আপনারা খুবই ভাগ্যবান যে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, স্বামী বিবেকানন্দ, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মভূমিতে জন্ম নিয়েছেন ও বড় হওয়ার, পড়াশোনা করার সুযোগ পাচ্ছেন। এই মহান পুরুষদের মানসিকতার বীজ ছড়িয়ে আছে আপনাদের মধ্যে। জীবনে আরও ভালো ভাবে এগিয়ে যান। আরও সাফল্য লাভ করে দেশ তথা এই রাজ্যের মান আরও উন্নত করুন”।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০ থেকে ২০২২ সাল, এই তিন বছরের ২৮২ জন মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীর হাতে স্বর্ণ ও রৌপ্যপদক তুলে দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১৩৭ জনকে স্বর্ণপদক ও ১৪৫ জনকে রৌপ্যপদক দেওয়া হয়। এছাড়াও পিএইচডির (PhD) ৩৬ জন ও এম ফিলের (M.Phill) ২১ জন ছাত্রছাত্রীর হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়। যদিও ছাত্র-ছাত্রীদের পদক দেওয়ার আগেই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে চলে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে পরে সেই পদক ও সার্টিফিকেট তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. দেবকুমার মুখোপাধ্যায়। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানের মুখ্য অতিথি ড. তাপস কুমার কুণ্ডু, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী উদয়ন গুহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. আব্দুল কাদের সাফেলি প্রমুখ।