তাই ঝুঁকি নিয়ে নিত্যদিন চলে স্কুলের পঠন পাঠন। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সন্ধ্যা মন্ডল এই বিষয়ে জানান, “ভরা কোটালের জোয়ার এমনকি নদীর ওপর দিয়ে জাহাজ গেলেও জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয় এলাকা। সেই সময় ছাত্রছাত্রীদেরকে নিয়ে স্কুলের দোতালায় পঠন পাঠনের কাজ করতে হয়। নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়ে একাধিকবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি আমরা। কিন্তু আজ পর্যন্ত নদী বাঁধ মেরামতের কোনও কাজ হয়নি”। অন্যদিকে গ্রামের বাসিন্দারা জানান, ভোট আসে ভোট যায়, গ্রামে জনপ্রতিনিধিরা আসেন। কিন্তু তাদের সমস্যার কথা শুনলেও আজও কোনও সমাধান হয়নি। নদী বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় হুগলি নদী থেকে যখন জাহাজ যাতায়াত করে সেই সময়ে জলোচ্ছ্বাসে নদীর জল চলে আসে এলাকায়। এমনকি ভরা কোটালেও আতঙ্কে থাকেন তারাগঞ্জ এলাকার বাসিন্দারা। যখন নদীর নোনা জল ঢুকে পরে এলাকায়, তখন ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিতে হয় অন্যত্র।
অবশ্য নদী ভাঙন (River Erosion) নিয়ে ফলতা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর খান বলেন, “ফলতা বিধানসভা নদী তীরবর্তী এলাকায় বিগত কয়েক বছর ধরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা ইতিমধ্যেই লিখিতভাবে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) জানানো হয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সেচ দফতরকে বাঁধ মেরামতের জন্য আবেদন করেন”। ইতিমধ্যেই বাঁধ মেরামতের টেন্ডার হয়ে গিয়েছে বলেও জানানো হয়। আর্থিক অনুদান এলেই বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করা হবে, জানিয়েছেন জাহাঙ্গীর। তবে গ্রামবাসীদের প্রশ্ন কবে শুরু হবে বাঁধ মেরামতের কাজ? সেই প্রশ্নের উত্তর কারোর জানা নেই। তাই আতঙ্কে প্রহর গুনছেন তারাগঞ্জ এলাকার বাসিন্দারা।