নিউটাউন থানার (New Town Police Station) পুলিশ তদন্ত করবে ধৃত পাঁচজনের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত রয়েছে। এই ডাকাতির দলের শিকড় কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত, তাও খুঁজে বের করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, নিউ টাউন ও সংলগ্ন এলাকায় চুরি ও ডাকাতির সমস্যা রয়েছে বলে অনেকবারই অভিযোগ উঠেছে। এলাকার নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে বহুবার প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। গত বছর বেশ কয়েকটি এলাকায় চুরির ঘটনাও ঘটেছে। তারপরেই নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন। বাড়ানো হয় পুলিশি টহল, বিশেষ করে রাতের দিকে। তারপর থেকেই মেলে বেশ কিছু সাফল্য। গত বছর নভেম্বর মাসেই ডাকাতির ছক বানচাল করা হয় ইকোপার্ক (Eco Park) চত্বরে। লঙ্কার গুঁড়ো, ধারাল অস্ত্র নিয়ে ডাকাতির (Robbery) ছক কষেছিল দুষ্কৃতীরা। কিন্তু তার আগেই ইকোপার্ক থানার পুলিশকর্মীরা ওই দুষ্কৃতীদের পাকড়াও করে।
পুলিশের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল। সেই মতন গভীর রাতে ওই এলাকায় হানা দেন ইকোপার্ক থানার পুলিশকর্মীরা। পুলিশকে দেখেই দুষ্কৃতীরা ছুটে পালাতে শুরু করে। পুলিশকর্মীরাও পিছু পিছু ধাওয়া করেন। পুলিশের তৎপরতায় পাঁচজনকে ধরে ফেলা হয়। কী উদ্দেশে তারা সেখানে জড়ো হয়েছিল, সেই নিয়ে প্রশ্ন করতেই কথায় অসঙ্গতি আসতে থাকে। তাতে আরও সন্দেহ হয় পুলিশের। এরপর তাদের তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় লঙ্কার গুড়ো, ধারাল অস্ত্র। সঙ্গে ডাকাতির জন্য অন্যান্য সরঞ্জামও পাওয়া যায়। এরপরই ওই পাঁচ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।