সুযোগ বুঝে বেড়েছে ভাড়াও?
বনধের সুযোগ নিয়ে গাড়ি ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। শিলিগুড়ির ট্যুর অপারেটররাও বেজায় বিপাকে পড়েছেন। তাঁদের কথায়, “এই সময় স্বাভাবিকভাবেই পর্যটকদের একটা বিরাট চাপ থাকে। কিন্তু, বনধের জন্য সমস্যা হচ্ছে। বহু পর্যটক আটকে পড়েছেন। অনেকে আবার ফিরে আসছেন। কেউ কেউ আবার দার্জিলিঙে চলে যাচ্ছেন।” এদিকে গাড়ি ভাড়া দিয়ে গিয়ে রীতিমতো হাত পুড়ছে পর্যটকদের। এমনকী, শেয়ার গাড়ির ভাড়াও অগ্নিমূল্য।
কী কারণে বিক্ষোভ?
গত ১৩ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট একটি মামলার পর্যবেক্ষণে বলে, সিকিমের নেপালিরা ‘বিদেশি বংশোদ্ভূত।’ এই নিয়ে রিভিউ পিটিশন সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করেছে। কিন্তু, সিকিম সরকারের ভূমিকার তীব্র নিন্দা করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মণিশর্মা ইস্তফা দেন। ৯ ফেব্রুয়ারি সিকিম বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশনের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং। এদিকে বনধকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। শাসক দল SKM-এর সঙ্গে বনধ সমর্থকদের সংঘর্ষ বাঁধে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের রুখতে গেলে পরিস্থিতি নিমেষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এই বনধের প্রভাব পড়েছে গ্যাংটক, রোংলিতে। রোংলি বাজার একপ্রকাশ স্তব্ধ হয়ে উঠেছে।
সিকিমের এই পরিস্থিতিতে বেজায় বিপাকে পড়েছেন পর্যটকরা। সেখানে আটকে পড়া এক পর্যটক বলেন, “এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হবে তা বুঝতে পারিনি। বনধের বিষয়টি সম্পূর্ণ অজানা ছিল। কোনওমতে এখান থেকে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে চাই।” এদিকে সিকিম পর্যটন অ্যাসোসিয়েশন ও পরিবহণ ইউনিয়ন এই বনধের তীব্র বিরোধিতা করেছে। গত দু’বছর ধরে কোভিডের জন্য পর্যটন শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে সিকিমে পর্যটকদের আনাগোনা কমলে তা সেখানের ব্যবসায়ীদের জন্য অত্যন্ত বড় ক্ষতি বলেই মত অভিজ্ঞ মহলের।