শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: বইমেলায় ঘুরতে এসেছিলেন দু’জনেই, দেখা হয়ে গেল হঠাৎ-ই! প্রেসিডেন্সি সংশোধানাগারে বসে যে বই লিখেছিলেন, সেই ‘বন্দির ডায়েরি’ দেবাশিস চক্রবর্তীর হাতে তুলে দিলেন কুণাল ঘোষ। তিনি যখন বন্দি ছিলেন, তখন প্রেসিডেন্সি সংশোধানাগারের সুপার ছিলেন দেবাশিস। বইয়ের নীচে লিখলেন, ‘প্রাক্তন বন্দির পক্ষ থেকে’।
লেখালেখি করেন বরাবরই। সাংবাদিক হিসেবে নামডাক যথেষ্টই। রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পর গ্রেফতার হয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। কেন? তখন তিনি তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। চাকরি করতেন সারদা পরিচালিত সংস্থায়। ২০১৩ সালে যখন সারদা কেলেঙ্কারি প্রকাশ্য়ে আসে, তখন কুণাল ঘোষকে গ্রেফতার করে বিধাননগরের ইলেকট্রনিক কমপ্লেক্স থানার পুলিস। অভিযোগ, সারদার টাকা ব্যবহার করে নাকি কুণালের দায়িত্ব সংবাদসংস্থার কর্মীদের বেতন দেওয়া হচ্ছে না। বস্তুত, জেল হেফাজতে থাকাকালীন আরও বেশ কয়েকটি মামলায়ও গ্রেফতার দেখানো হয় তাঁকে।
আরও পড়ুন: কুন্তলকে জড়িয়ে কু-ইঙ্গিত, সৌমিত্রকে আইনি নোটিস পাঠালেন সায়নী
বছর তিনেক প্রেসিডেন্সি সংশোধানাগারে বন্দি ছিলেন কুণাল। কেমন ছিল সেই অভিজ্ঞতা? বই লেখেন সংশোধানাগারে বসেই। নাম, ‘বন্দির ডায়েরি’। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের পর জামিনে মুক্তি পান কুণাল ঘোষ। এখন তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র। শনিবার বইমেলায় ঘুরতে গিয়েছিলেন কুণাল। মেলার প্রাঙ্গণেই আচমকাই তাঁর সঙ্গে দেখা হয়ে যায় প্রেসিডেন্সি সংশোধানাগারের তৎকালীন সুপার দেবাশিস চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাঁর হাতে কুণাল তুলে দেন তাঁর যন্ত্রণা পর্বের সাক্ষ্য বহনকারী ‘বন্দির ডায়েরি’।