Chupi Char : পাখি প্রেমীদের জন্য সুখবর! নতুন প্রজাতির সন্ধান মিলল চুপির চরে – ornithologist get new variants migratory birds at kalna chupi char


West Bengal News : পাখি প্রেমীদের জন্য সুখবর! প্রিনিয়া, ব্ল্যাক উইন স্টিল হোক বা ইস্টার্ন মার্স। এবার দেখা মিলছে বর্ধমান পূর্বস্থলীর (Purba Bardhaman) চুপিতে (Chupi Island)। বন দফতরের গণনায় উঠে এল সেই তথ্য। প্রতি বছরই প্রচুর পরিমাণে পরিযায়ী পাখির আনাগোনা লক্ষ্য করা যায় চুপি চরে। এ বছর মোট ১১ হাজার পাখির সন্ধান মিলেছে, যার মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু নতুন প্রজাতির পাখিও।

Mandarin Duck : ফিরল ‘হারিয়ে যাওয়া’ ম্যান্ডারিন, জিরো উপত্যকায় হদিশ বিরল প্রজাতির পাখির
বন দফতর সূত্রে খবর, ১১ হাজারের বেশি পাখির হদিশ মিলেছে কালনার (Kalna) এই চুপিতে। মিলেছে ৬০টির ও বেশি প্রজাতির পাখি (Migratory Bird)। পূর্বস্থলির চুপিতে কাটোয়ার রেঞ্জ অফিসারের নেতৃত্বে ১৫ জনের এটি দল ৪টি নৌকা করে ছারিগঙ্গায় সারাদিন ধরে গণনা চালায়। গণনায় উঠে আসা প্রায় ১১ হাজারেরও বেশি পাখির সন্ধান পায়। দেখা যায় ১১ হাজার পাখির মধ্যে ৬০টি প্রজাতির পাখি রয়েছে। তবে এ বছর চুপির চরে নতুন কিছু প্রজাতির পাখি হদিশও মিলেছে। প্রিনিয়া, ব্ল্যাক উইন স্টিল, ইস্টার্ন মার্স, হেরিয়ারের মতো নতুন প্রজাতি দেখতে পেয়েছেন পক্ষী বিশেষজ্ঞরা। প্রথমবার কালনা কোর্ট (Kalna Court) লাগোয়া জলাশয় ও চাষের জমিতে আসতে শুরু করেছে বিদেশি পাখি। কালনায় প্রথম বার শীতের শুরুতে পাখি আসায় নজরদারি চালাচ্ছে বন দফতর (Forest Department)।

Durgapur News : নেকড়ের পর এবার নীলগাই, কাঁটাবেড়িয়া-গড় জঙ্গলে বাড়ছে বন্যপ্রাণ
রবিবার সকাল থেকেই কাটোয়া রেঞ্জ অফিসার শিবপ্রসাদ সিংহের নেতৃত্বে ১৫ জনের দল উন্নত মানের ক্যামেরা, বাইনোকুলার আর অত্যাধুনিক সরঞ্জাম নিয়ে গণনার কাজ শুরু করে। রেঞ্জ অফিসার জানালেন, গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলা যাবে না সঠিক সংখ্যা। তবে পাখির সংখ্যাটা কম নয়। এর মধ্যে লেজার হুইসলিং বার্ড এর সংখ্যাটাই বেশি। প্রথমবার কালনা কোর্ট (Kalna Court) চত্বরে লাগুয়া জলাশয় পাখি আশাতে খুশি এলাকাবাসী। খুশি কালনায় ঘুরতে আসা পর্যটকরাও।

Buxa Tiger Reserve: ট্র্যাপ-ক্যামেরায় ধরা পড়ল বিরল ছবি! রাজ্যে প্রথমবার বক্সার জঙ্গলে হদিশ সোনালি বিড়ালের
তবে চিন্তার বিষয় প্রথমবার পাখিগুলো এখানে এলেও পরের বছর আসবে কি না ? সেই নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। অত্যাধিক পরিমাণ কৃষি ভূমি থাকায় মানুষের আনাগোনা বেশি। সেই কারণেই বন দফতর (Forest Department) মনে করছেন সামনে বছর থেকে পাখির সংখ্যাটা কমে যেতে পারে। উল্লেখ্য, বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীর কাষ্ঠশালী গ্রামেই আছে অশ্বক্ষুরাকৃতি এক জলাভূমি যা চুপির চর নামে পরিচিত। এই জলাভূমিটি কয়েক দশক আগে গঙ্গার অংশ ছিল। এখানকার বাসিন্দারা একে বলে থাকেন ছাড়ি গঙ্গা। শীতকালে হাজার হাজার পরিযায়ী পাখি দূর দূরান্ত থেকে এসে বাসা বাঁধে এই অনন্য সুন্দর জলাভূমির চারপাশে। এই চরে পাখি দেখার জন্য প্রতি বছরই ভিড় জমে প্রচুর পর্যটকের।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *