শনিবার কেশপুরের (Keshpur) সভা থেকে অভিষেককে বলতে শোনা যায়, বিরোধী দলের কেউ প্রার্থী দিতে না পারলে যেন তাঁকে ফোন করতে দ্বিধা না করেন। তিনি মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেবেন। দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) জবাব, দলের নিচু স্তরে লাগাম নেই বলেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) মতো নেতাকে বুথ স্তরে নেমে আসতে হচ্ছে। বিরোধীদের আশ্বস্ত করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, “এরকম বড় বড় ডায়লগ আগেও শুনেছি আমরা। নিজে সামলান, নিজেদের কর্মীদের সামলান। ওঁকে কেন নামতে হয়েছে মাঠে, ওঁকে কেন গিয়ে বুথে বসতে হচ্ছে। তার জবাব দিতে হচ্ছে। তাঁরা যা লুট করেছে, তাঁরা মানুষকে জবাব দিতে পারছে না তাই ওঁকে বুথে গিয়ে বসতে হচ্ছে।”
রবিবার সকালে সুভাষ সরোবরে (Subhas Sarobar) প্রাতঃভ্রমণে আসেন BJP-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। অভিষেকের মনোনয়ন সংক্রান্ত বক্তব্যের সমালোচনার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় আর্থিক বঞ্চনা নিয়ে মন্তব্যেরও তীব্র বিরোধিতা করেন মেদিনীপুরের সাংসদ। কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে, তবে সেই টাকা ‘নয়ছয়’ হচ্ছে, রাজ্য সরকার হিসাব দিতে পারছে না বলে ফের অভিযোগ করেন দিলীপ। গতকালই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি রাজ্যকে দুষে নারী ও শিশু কল্যাণ খাতে দেওয়া ২৬৭ কোটি টাকা খরচ না হয়ে পড়ে থাকার অভিযোগ করেছেন। কেন্দ্র টাকা দিলেও অনেক ক্ষেত্রেই রাজ্য সরকার সেই অর্থ খরচ ব্যর্থ বলে অভিযোগ ছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর।
সেই সুরে সুর মিলিয়ে এদিন দিলীপের দাবি, “মোট আড়াই হাজার কোটি টাকা পড়ে রয়েছে। সেই টাকা ব্যবহার করছে না। ওঁদের কোনও পরিকল্পনাই নেই। হয়তো কাটমানি ছাড়া দেওয়া যাবে না।” জল জীবন প্রকল্পের এত টাকা এসেছে, কেন মানুষের সামনে জল নেই, সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন দিলীপ।