জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষকে জড়িয়ে মন্তব্য। আর তার জেরেই বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-কে আইনি নোটিস পাঠালেন যুব তৃণমূল রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। শুধু নোটিস পাঠিয়েই ক্ষান্ত হননি সায়নী ঘোষ। ৭ দিনের মধ্যে সৌমিত্র খাঁ প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে পরবর্তীতে আইনি পদক্ষেপ করবেন বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। মানহানির মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন। যদিও বিজেপি সাংসদ অবশ্য এতে দমে যাওয়ার পাত্র নন। তিনি ক্ষমা চাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। দরকারে তিনিও আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানিয়েছেন।
Sharing legal notice issued to Saumitra Khan for his defamatory statements made in public domain on 3rd Feb 2023, demanding a public apology failing which I will exercise my legal right in the criminal & civil court of law. pic.twitter.com/AhrJmiYAoq
— Saayoni Ghosh (@sayani06) February 5, 2023
অভিযোগ, ধৃত কুন্তল ঘোষ ও সায়নী ঘোষের মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ইঙ্গিতসুলভ মন্তব্য করেছেন সৌমিত্র খাঁ। দাবি করেছেন, এর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ দাবি করেন, সায়নী ঘোষ এবং কুন্তল ঘোষ শুধুমাত্র রাজনৈতিক সহকর্মী নন। তাঁদের দু’জনের মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্কও রয়েছে। তদন্ত করলে সেই তথ্য সামনে আসবে বলেও দাবি করেন তিনি। উল্লেখ্য কুন্তল ঘোষের গ্রেফতারির পরই একমঞ্চে কুন্তল-সায়নীর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি হেফাজতে রয়েছেন তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষ। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার আশঙ্কা ছিল বেআইনি নিয়োগ করতে গিয়ে কুন্তল ঘোষ নিয়েছেন অন্তত ৩০ কোটি টাকা। সেই সূত্রেই কুন্তলের ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্টে নজর ছিল ইডির। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার দাবি, কুন্তলের ২টি ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট থেকে লেনদেন হয়েছে সাড়ে ৬ কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, ইডির আরও দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা কুন্তল ও তার সহযোগীদের মাধ্যমে পৌঁছে যেত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে।
ইডির দাবি, তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের ২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিস পেয়েছেন তারা। সেইসব অ্য়াকাউন্টের স্টেটমেন্ট তাদের হাতে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কুন্তলের ২টি অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে সাড়ে ৬ কোটি টাকা। ওই টাকা কুন্তল ঘোষ নিজেই জমা দিয়েছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু ওই বিপুল টাকা জমা দেওয়ার পরও তা বিভিন্ন অ্য়াকাউন্টে চালান করে দেওয়া হয়। কেন ওই বিপুল টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে কুন্তল জমা করেছিলেন এবং সেই টাকা কোথায় ট্রান্সফার করা হয়েছে তা তদন্ত করে দেখছে ইডি। এর পাশাপাশি বিনোদন জগতেও একটি পার্টনারশিপ ফার্ম খুলেছিলেন কুন্তল। ওই ফার্মের মাধ্যমে শর্ট ফিল্ম থেকে শুরু করে মিউজিক ভিডিয়ো বানাতেন কুন্তল। ওই ফার্মের আয়ের উত্স কী, তা এখনও বলেলনি কুন্তল।
আরও পড়ুন, কাছেই সীমান্ত, বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র! মাড়গ্রাম বিস্ফোরণে বিস্ফোরক ফিরহাদ