Smriti Irani : নারী-শিশুকল্যাণের বরাদ্দ খরচ হয়নি বাংলায়: স্মৃতি – union minister smriti irani complaint against west bengal government


এই সময়, রাজারহাট: কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের পাওনা টাকা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরের মধ্যেই নতুন অভিযোগ। নারী ও শিশুকল্যাণ খাতে বঙ্গে বরাদ্দ টাকা খরচ হয়নি বলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani)। শনিবার নিউ টাউনের একটি হোটেলে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ করেন, “রাজ্যকে যে টাকা দিচ্ছে কেন্দ্র, তার কোনও ঠিকঠাক হিসাব দিচ্ছে না বাংলার সরকার। আমার মন্ত্রক থেকে নারী ও শিশুকল্যাণ খাতে যে ২৬৭ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল, তাও এখনও রাজ্য সরকার খরচ করতে পারেনি।”

Abhishek Banerjee : বগটুইয়ে ক্ষতিপূরণ: নয়া দ্বন্দ্বে তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি
বাংলায় এসে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগের পর নতুন করে টানাপড়েন শুরু হয়েছে। কেন্দ্রকে পাল্টা তোপ দাগতে দেরি করেনি রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনের বক্তব্য, “স্মৃতি ইরানিকে (Smriti Irani) স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, কেন্দ্র যে টাকা দেয়, তা তাদের পৈতৃককুলের টাকা তো নয়! বাংলা থেকে নিয়ে যাওয়া বছরে ৭০ থেকে ৭৫ হাজার কোটি টাকা থেকেই একটি অংশ দেওয়া হয়। কিন্তু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সব সময়ে বাংলাকে বঞ্চিত রাখা হয়।”

Pradhan Mantri Awas Yojana : আবাসের অনুমোদন সময় শেষের নির্দেশ
এ দিন রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ করেন স্মৃতি। তাঁর দাবি, “কেন্দ্রের অনেক প্রকল্পও নিজেদের বলে চাপিয়ে দিচ্ছে রাজ্য, এ নিয়ে রাজ্য সরকার ভুল স্বীকার করে চিঠিও দিয়েছে। একশো দিনের প্রকল্প, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (Pradhan Mantri Awas Yojana) – সব কিছুতেই তৃণমূল সরকার চুরি করেছে। এর জন্য সাধারণ মানুষ তাঁদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে সাধারণ মানুষের উপকারের জন্য, আর রাজ্য সরকার সেই টাকা দিয়ে নিজের পকেট ভরাচ্ছে।”

স্মৃতির সতর্কবার্তা, “কেন্দ্রের মাতৃ বন্দনা প্রকল্প এ রাজ্যে নাম পাল্টে হয়েছে বাংলা মাতৃ প্রকল্প। কেন্দ্রের বরাদ্দ নিয়ে রাজ্য তা নিজেদের প্রকল্প বলে চালিয়েছে। আমরা সেটা নিয়ে প্রশ্ন করতে রাজ্য চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, তাদের এটা ভুল হয়েছে। আগামী দিনে এমনটা আর হবে না।”

National Ayush Mission : আয়ুষে কাজ হচ্ছে কেমন, দেখতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল
পাল্টা শান্তনুর বক্তব্য, “অভিযোগের কতটা সারবত্তা রয়েছে, সরকারি দপ্তর তা বলতে পারে। বাংলার প্রতি রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণতা কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে, তা প্রতিটি মানুষ উপলব্ধি করতে পারছেন। ২০২২, ৫ অগস্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) চিঠি দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদীকে। তাতে বলা হয়েছিল, বিভিন্ন খাত মিলিয়ে ১ লক্ষ ৯৬৮ কোটি টাকা আমাদের পাওনা। প্রায় এক বছর হতে চলল, সামান্য টাকা ছাড়া কোনও টাকা দেওয়া হয়নি। প্রায় সাড়ে ১১ লক্ষ মানুষের বাড়ি তৈরি আটকে রাখা হয়েছে, ১০০ দিনের টাকা আটকে রাখা হয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে যে সহযোগিতা করার কথা, তা দেওয়া হয়নি।”

তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, আবাস যোজনা প্রকল্পে একমাস সময় দিয়ে সব কাগজপত্র তৈরি করতে বলা হয়েছিল। গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ করতে পারেনি বলে সময়সীমা বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি করা হয়। বাংলা সব কাগজ সময়ে জমা দিয়ে দিয়েছিল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *