Rakhi Sawant, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিয়ের কথা প্রকাশ্যে আসার সময় থেকেই রাখি সাওয়ান্ত ও আদিল খান দুরানির সম্পর্ক নিয়ে শুরু হয় টালমাটাল। বিয়ের ছবি প্রকাশ্যে এলেও প্রথমে সেই কথা স্বীকার করতে চাননি আদিল। তবে এরপর সলমান খানের মধ্যস্থতায় আদিল স্বীকার করে নেন যে রাখির সঙ্গে আইনি বিয়ে করেছেন তিনি। এর মাঝেই ক্যানসারে আক্রান্ত রাখির মা প্রয়াত হন। তারপর থেকেই শোনা যায়, আদিল আর রাখির সম্পর্কে বাড়ছে তিক্ততা। অবশেষে সোমবার বিচ্ছেদের ঘোষণা করেন রাখি সাওয়ান্ত।
আরও পড়ুন- Kangana Ranaut: ‘শুধরে যাও নইলে ঘরে ঢুকে মারব…’, বিটাউনের তারকা দম্পতিকে সতর্কবার্তা কঙ্গনার!
এদিন আদিলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন রাখি সাওয়ান্ত। অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি একবছর অনেক সহ্য করেছি। কিছুতেই বিয়ের কথা প্রকাশ্যে আনতে চাইত না। আমি দুবাইয়ে বাড়ি নিয়েছি, ওকে পার্টনার করে আমার অ্যাকাডেমি শুরু করেছি। ওর কথা মতো আমার পোশাক বদলেছি আমি। কখনও নিজের ইগো থেকে সরেনি। সবসময় বলত, বিয়ের কথা প্রকাশ্যে এলেই আমি ডিভোর্স দিয়ে দেব। বলত, আমাদের পরিবার বলিউডের মেয়ে মেনে নেবে না, আমার বোনের বিয়ে হবে না। কিন্তু ওর পরিবার এরকম নয়, ওরা খুবই ভালো। আমায় মেনেও নিয়েছে। কিন্তু আদিল আমার সঙ্গে বিয়ের পরও প্রাক্তনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। এরপর আমি বিগ বস মারাঠীর অফার পাই। অ্যাকাডেমির দায়িত্ব দিয়ে যাই আদিলের হাতে। বিগ বস থেকে এসে দেখি, আমার মা হাসপাতালে। তখন ওর বন্ধুরাই আমায় দেখায় যে, নতুন একজনের সঙ্গে সম্পর্ক শুরু হয়েছে। কোরানে হাত রেখে তখন আদিল আমায় বলে, ওর সঙ্গে দেখা করবে না। কিন্তু দেখা করে। ঐ মেয়েটার কথায় আমাকে মারধর করত। একদিন আমি নামাজ পড়ছিলাম, তার মধ্যেই আমায় মারধর করে। আমার তলপেটে লাথি মারে। আমায় বলত, মুখ বন্ধ রাখলে আমার সঙ্গে থাকবে। বারবার বলত, তোমার কথা কেউ বিশ্বাস করবে না। তোমার তো বছর বছর বর পরিবর্তন হয়, লোকে এমনই বলবে। সবাই বলবে, তুমি নাটক করছ।’
আরও পড়ুন- Chitrashi Rawat Wedding: বিয়ের পিঁড়িতে ‘চক দে ইন্ডিয়া’ খ্যাত অভিনেত্রী, হাজির পর্দার টিম ইন্ডিয়া…
অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘আদিল যখন মাইসোর থেকে আসে, ওর কাছে কিছু ছিল না। আমি ওকে বলিউডের সঙ্গে পরিচয় করাই। ওকে ব্যবসায়ী বানাই। বিগ বস মারাঠীতে যাওয়ার আগে ওকে ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে যাই মায়ের জন্য। কিন্তু সময়ে মাকে চিকিৎসা করায়নি। গতকাল আমার বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার সময় আমার ৫ লক্ষ টাকা ও আমার মায়ের গয়না নিয়ে চলে গেছে। এই এক বছরে প্রায় দেড় কোটি টাকা নিয়েছে আদিল। আমার টাকায় ঐ মেয়েটাকে ছবির নায়িকাও বানিয়ে নেয়। আমি এসে বাদ দিয়ে দিই। ঐ মেয়েটা বারবার চাপ দিত যে আমায় যেন ছেড়ে দেয়। যেদিন আমি বললাম, চলে যাও। সেদিন আর গেল না। আমি ওর পা ধরে বলতাম, যেও না। কিন্তু শোনেনি। প্রথম প্রথম আমায় বলত, ও অভিনেতা হে চায় না। তারপর হঠাৎই বলে ও অভিনেতা হতে চায়। আমি ভেবেছিলাম বিয়ে করে আমি শুধু সালোয়ার পরব আর অ্যাকাডেমি চালাব। আমার কপালে নেই এই সুখ। তাও আমি ক্ষমা করে দিলাম আদিলকে। আদিল তুমি ভগবানের থেকে বড় নও। তোমার সত্যি যদি আমি সব বলে দিই, তাহলে তুমি আর মুম্বইয়ে থাকতে পারবে না। তাই সাবধান।’ রাখির পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁর দাদা। মিডিয়ার কাছে তাঁর আর্জি, ‘রাখির মানসিক স্থিতাবস্থা ঠিক নেই। প্লিজ ওর পাশে থাকবেন।’