অয়ন ঘোষাল: এই মরশুমের শীতের স্পেল সোমবারই শেষ। সোমবার বিকেলের পর থেকে উত্তুরে হাওয়ার প্রভাব কমবে। তার জায়গা নেবে দখিনা বাতাস। সোমবারের পরে বঙ্গের তাপমাত্রা আর স্বাভাবিকের নিচে নামবে না বলেই জানা গিয়েছে।
কলকাতায় সকালে মাঝারি কুয়াশা থাকলেও পরে পরিষ্কার আকাশ দেখা যাবে। সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি থেকে বেড়ে ১৫.৯ ডিগ্রি হবে। মঙ্গলবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭.২ ডিগ্রি থেকে বেড়ে ২৮.২ ডিগ্রি হবে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৩৩ থেকে ৯৩ শতাংশ।
এই রাজ্যে হালকা উত্তুরে হওয়া চলবে সোমবার বিকেল পর্যন্ত। তারপর আর স্বাভাবিকের নিচে নামবে না পারদ। সোম ও মঙ্গলবার সিকিম এবং দার্জিলিংয়ে সামান্য বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি আর কোথাও বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। উত্তরবঙ্গে কুয়াশা থাকবে আরও দুদিন। মঙ্গলবার থেকে মাঝারি কুয়াশা এবং কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে।
দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হয়েছে। উত্তর-পশ্চিম ভারতে রবিবার রাতেই নতুন করে ঢুকেছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। বুধবার আরও একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে উত্তর-পশ্চিম ভারতে।
আরও পড়ুন: পরকীয়ার শাস্তি! গৃহবধূ-যুবককে বিবস্ত্র করে গাছে বেঁধে গণধোলাই, ভাইরাল ভিডিয়ো
দক্ষিণ ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। মূলত কোমোরিন এলাকায় ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে এবং তার প্রভাবেই এই বৃষ্টি। তামিলনাড়ু, কেরালা এবং লাক্ষাদ্বীপ এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে লাক্ষাদ্বীপ এলাকায় সর্বোচ্চ ৫৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়।
সোমবার পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে নতুন করে আরও একবার বৃষ্টি এবং তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, মোজাফফরাবাদ এবং হিমাচল প্রদেশে। সোমবার উত্তরাখণ্ডেও বৃষ্টি এবং হালকা তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টায় অরুণাচল প্রদেশ এবং আসামের উপরিভাগে বৃষ্টি এবং শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
আরও পড়ুন: কাছেই সীমান্ত, বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র! মাড়গ্রাম বিস্ফোরণে বিস্ফোরক ফিরহাদ
শৈত্য প্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে আগামী ২৪ ঘণ্টায়। মধ্যপ্রদেশ, বিদর্ভ এবং ওড়িশার কিছু এলাকায় হতে পারে।
ঘন কুয়াশার দাপট থাকবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। এছাড়াও আগামী ২৪ ঘন্টা থেকে ৪৮ ঘন্টা কুয়াশার দাপট থাকবে হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, উত্তর প্রদেশ, অসম, মিজোরাম এবং ত্রিপুরাতে।