পরিবারের তরফে জানায় হয়েছে, ঘরে একটি বোর্ডে বাবা-মার উদ্দেশে দুঃখ প্রকাশ করে লেখা ছিল – ‘মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কেউ জড়িত নয়।’ ঘটনা জানাজানি হতেই স্থানীয় থানায় খবর দেন এলাকাবাসীরা। চুঁচুড়া থানার পুলিশ খবর (Chinsurah Police Station) পেয়ে মৃতেদহ উদ্ধার করে। মৃত শিক্ষকের দেহটি ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। দেহ উদ্ধারের পর থেকেই বাকরুদ্ধ ভক্তদাসের বাবা-মা। ঠিক কী কারণে ওই যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না পরিবারের লোকজন। শিক্ষকের এক আত্মীয় মনোতোষ অধিকারী জানান, কেন করল কিছু বুঝতে পারা যায়নি। একটা সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। কেন লিখল তাও জানি না। পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, বাবা-মার একমাত্র সন্তান ছিল ভক্তদাস। বাড়িতে কারও সঙ্গে কোনওরকম ঝগড়া-অশান্তি ছিল না।
এমনকি ভক্তদাস কোনও অবসাদে ভুগছিলেন না বলেও পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন। সম্প্রতি শিক্ষক পদে নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যে টানাপোড়েন চলছে। তবে ভক্তদাসের পরিবারের লোকজন জানিয়েছে, তাঁর চাকরির ক্ষেত্রেও কোনও সমস্যা ছিল না। বৈধ চাকরি ছিল তাঁর। ঘটনার খবর পেয়ে শিক্ষকের বাড়তে হাজির হন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বলরাম অধিকারী। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বলরাম অধিকারী বলেন, “খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। খুব ভদ্র, শান্ত ছেলে ছিল ভক্ত। বাবনান স্কুলে চাকরি করত। আমি সকালে খবর পেয়ে বাড়িতে যাই।” বাবনান স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৮ নভেম্বর ২০১৯ সালে অঙ্কের শিক্ষক হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন ভক্তদাস অধিকারী। নিয়মিত স্কুলে যেতেন। ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল তাঁর।