চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। বাস থেকে নেমে বেশ কিছুক্ষণ পথ অবরোধ করে বিজেপি কর্মী, সমর্থকেরা। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। কোনওক্রমে বিজেপি কর্মীদের বুঝিয়ে এলাকা থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশকর্মীরা। কারা হামলায় চালালো তা খতিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। গোটা ঘটনা সম্পর্কে বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাটের কথায়, “আজ শুভেন্দু অধিকারীর পিংলায় জনসভা ছিল। সেখানে আমাদের বিজেপি কর্মীরা ছিলেন। একাধিক বাসে গিয়েছিলেন তাঁরা। ফেরার পথে নিমতলা পার করে ঘাটাল সীমানায় ঢোকার সময় কিছু দুষ্কৃতী বাসের উপর হামলা করে। বাস ভাঙচুর করে। আমাদের বাসের চালককে মারা হয়। সে সময় আমাদের কর্মীরা পাল্টা রুখে দাঁড়ান। রাস্তায় নেমে অবরোধ করেন।” যদিও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে ঘাটাল ব্লক তৃণমূল সভাপতি দিলীপ মাজি বলেন, “তৃণমূল এই ঘটনায় জড়িত নয়। বিজেপি নাটক করছে।”
প্রসঙ্গত, গত শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরে (Paschim Medinipur) কেশপুরে এসেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কেশপুরের সভাকে এখনও পর্যন্ত তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ সভাও বলেছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। পঞ্চায়েত ভোটের আবহে ‘রাম-বাম’ জোট নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ করেন এই সভা থেকেই। মনোনয়ন জমা দিতে কোনও সমস্যা হলে বিরোধীদের ‘পাশে দাঁড়ানোর’ বার্তাও দিয়েছিলেন তাঁর বক্তৃতায়। তার ঠিক একদিনের মাথায় সেই পশ্চিম মেদিনীপুরেই পিংলায় সভা করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার তাঁর সভা ছিল পিংলার মুন্ডুমারি এলাকায়।