West Bengal Local News: প্রায় দেড় মাসের মাথায় হাওড়ায় ঝাড়খণ্ডের অভিনেত্রী ইশা আলিয়া ওরফে রিয়া কুমারী খুনের (Isha Aliya Muder Case) ঘটনায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করল পুলিশ (Howrah Rural Police)। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিল খোল উদ্ধার করল হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো ও বাগনান থানার পুলিশ। যেখানে অভিনেত্রীকে গুলি করা হয়েছিল সেখান থেকে কয়েক মিটার দূরত্বে তল্লাশি চালানোর পর আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবারের পর রবিবারেও মেটাল ডিরেক্টর দিয়ে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়েছিল জেলা ইন্টালিজেন্ট ব্যুরোএবং বাগনান থানার পুলিশ। যদিও রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করতে পারা যায়নি। শেষমেশ সোমাবার তল্লাশি চালানোর পর আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার হয়। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছিল যে ইশার স্বামী প্রকাশ কুমার বাগনানের চন্দ্রপুরে যেখানে তার স্ত্রীকে খুনের কথা বলেছে সেখানেই কোনও আগ্নেয়াস্ত্রটি ফেলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের পর এই মামলার কিনারা করা আরও সহজ হবে বলেই মনে করছেন আধিকারিকরা।
Youtuber Riya Kumari Murder Case: টাকা নিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র জোগান, হাওড়ায় ইউটিউবার খুনে রাঁচি থেকে গ্রেফতার যুবক
জাতীয় সড়কের উপর ঝাড়খণ্ডের অভিনেত্রীর খুনের ঘটনা গোটা রাজ্যে চাঞ্চল্য তৈরির করেছিল। এখনও অবধি ইশা আলিয়া খুনের ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বৃহস্পতিবার রাতে বিহার থেকে সন্দীপ কুমার সিং নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে বাগনান থানার পুলিশ। ধৃত সন্দীপ ঝাড়খণ্ডের রাঁচির বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছিল। শুক্রবার ধৃতকে উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হয়। আদালত তাঁকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন, ধৃত সন্দীপ ইশার স্বামী প্রকাশ কুমারের বন্ধু। প্রকাশকে আগ্নেয়াস্ত্র জোগাড়ে সাহায্য করেছিল সন্দীপ। পুলিশের রাঁচি থেকে মোহিত কুমার নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। মোহিত ঝাড়খণ্ডে অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।
Uttar 24 Pargana News : জঙ্গল থেকে উদ্ধার মহিলার দেহ! ১২ ঘণ্টার মধ্যে খুনের কিনারা পুলিশের
২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর বাগনানের চন্দ্রপুরে জাতীয় সড়কের খুন করা হয় ঝাড়খণ্ডের এই অভিনেত্রীকে। রক্তাক্ত অবস্থায় ইশাকে থানায় নিয়ে গিয়ে তাঁর স্বামী প্রকাশ দাবি করে, যে তাঁকে দুষ্কৃতীরা গুলি করে খুন করেছে। খুনের সময় গাড়ি থকে নেমে তিনি রাস্তার ধারে প্রস্রাব করছিলেন। দফায় দফায় প্রকাশকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁর বয়ানে অসঙ্গতি পায় পুলিশ। শেষমেশ ইশার পরিবারের তরফে অভিযোগের ভিত্তিতে প্রকাশকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে প্রকাশের ভাই সন্দীপকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। আগামী দিনে এই মামলা কোন দিকে যায়, সেটাই এখন দেখার।