জানা গিয়েছে, দীর্ঘ প্রায় ৬ থেকে ৭ মাস ধরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানীয় জল পাচ্ছেন না ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। বারবার পুর প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সূরাহা হয়নি বলে অভিযোগ ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের। এমনকি তাদের অভিযোগ, বাড়ি বাড়ি সরকারিভাবে পুরসভার তরফ থেকে ট্যাপ লাগানো হলেও সেই ট্যাপ দিয়ে পড়ছে না পানীয় জল। বর্তমানে অন্য জায়গা থেকে নিয়ে আসতে হচ্ছে পানীয় জল। পাশাপাশি ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জানান, চন্দ্রকোণা পুরসভার যে জলের ট্যাংক (Water Tank) রয়েছে সেগুলির কোনোটাতে জং ধরেছে, আবার কোনোটা লিক হয়ে পড়ে রয়েছে। সেগুলোও সারানোর উদ্যোগ নেয়নি পুর প্রশাসন।
ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের কথা মতন চন্দ্রকোণা পুরসভার জল সরবরাহ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেল এক চাঞ্চল্যকর ছবি। সারি সারি ভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে পানীয় জলের ট্যাংক। কিন্তু কোনোটাতে নেই চাকা, কোনোটা জং ধরেছে। আবার কোনোটা লতা পাতায় ঢাকা। কিন্তু জলের ট্যাংকে জ্বলজ্বল করে ফুটে উঠছে চন্দ্রকোণা পুরসভার (Chandrakona Municipality) নাম। এদিকে পুরো ঘটনা স্বীকার করে নিয়েছেন চন্দ্রকোণা পুরসভার জল বিভাগের দায়িত্বে থাকা গোবিন্দ দাস। তিনি জানান, “আলাদা করে ওই এলাকায় পাম্প হাউস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুরসভায় ছোট এবং মাঝারি যেসব জলের ট্যাংক রয়েছে তাতে করে কাজ চলে যাচ্ছে।” এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কেন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পাচ্ছেন না ওয়ার্ডের বাসিন্দারা?
তিনি বলেন, “বাকি জল ট্যাংকগুলি মেরামত করতে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।” তাহলে এখনও কেন জল সরবরাহ ট্যাংকের কাছে সারি সারি ভাবে লতা পাতায় ঢাকা অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে পানীয় জলের ট্যাঙ্ক গুলি? এই বিষয়ে গোবিন্দ দাস বলেন, “মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হচ্ছে আরও কিছু জল ট্যাংক যাতে বাড়াতে পারি।” জল ট্যাংক তো বাড়ান হবে, তার আগে বেহাল অবস্থায় থাকা ট্যাংকগুলির কি অবস্থা হয়েছে তা কি আদৌ খতিয়ে দেখা হবে? নাকি এভাবেই প্রতিশ্রুতি পেয়ে পেয়ে পানীয় জলের হাহাকার দেখতে হবে সাধারণ মানুষদের? এমন প্রশ্নগুলিই তুলে ধরেছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। এক বাসিন্দা এদিন রীতিমতো তোপ দেগে বলেছেন, “আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এই জল সমস্যার সমাধান না হলে আমরা পুরসভার গেটের সামনে ধর্নায় বসব।”