জমিতে জল নিয়ে যেতেও সমস্যায় পড়তে হয় এলাকার বেশ কিছু চাষিকে। দুই পক্ষের বিবাদ আদালত পর্যন্ত গড়ালে আদালত (Court) ওই বাড়ি ভাঙার নির্দেশ দেয়। গত ২৭শে জানুয়ারি পোলবার BDO ও পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে বাড়িটি ভাঙার কাজ শুরু হয়। তবে পর্যাপ্ত লোকজন ও JCB-র ব্যবস্থা না থাকায় ভাঙার কাজ বন্ধ রাখা হয়। আগামীকাল ওই বাড়ি ভাঙার কাজ করা হবে বলে জানান চাষিরা। এর মধ্যে তাঁরা কানাঘুষো শুনতে পেয়েছেন, আবার আদালত স্টে অর্ডার (Stay Order) দিতে পারে বাড়ি ভাঙার কাজে। তাই প্রশাসনকে দ্রুত বাড়ি ভাঙার কাজ শেষ করে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন চাষিরা। পাশাপাশি নিজেরাও একজোট হয়ে তাদের দাবি জানাতে আজ সন্ধ্যায় গ্রামে ঢ্যাঁড়া পিটিয়ে গ্রামবাসীদের অবগত করেন। আগামীকাল যাতে গ্রামবাসীরা ওই স্থানে উপস্থিত হয়।
তবে যদি আগামীকাল ওই বাড়ি ভাঙা না হয়, তাহলে বড়সড় আন্দোলনে নামবেন চাষিরা, এমনটাই বলা হয়েছে। তাঁদের হুঁশিয়ারি, ওই নির্দিষ্ট বাড়িটি ভাঙা না হলে চুঁচুড়া তারকেশ্বর ১৭ নম্বর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ চলবে। এই বিষয়ে বিক্ষোভরত এক চাষি জানান, “আদালত থেকে ওই বাড়িটি ভাঙার নির্দেশ বেশ অনেকদিন আগেই দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাও বাড়িটি ভাঙা নিয়ে বেশ গড়িমসি চলছে। এখন শুনছি আদালত আবার বাড়িটি ভাঙার ওপর স্টে অর্ডার দিতে পারে। এমন হলে আমরা খুবই বিপদে পড়ব। তাই আমরা চাই অবিলম্বে এই বাড়িটি ভেঙে দেওয়া হোক”।