Hooghly News : চাষিদের একত্রিত করতে গ্রামে ঢ্যাঁড়া পেটানো! উদ্দেশ্য কি? – farmers wants to united for a house break before court stay order in polba area


West Bengal News : কিছু বছর আগেও গ্রামবাংলায় কোনও খবরকে সবার মাঝে পৌঁছে দেওয়ার সব থেকে সহজ ও জনপ্রিয় উপায় ছিল ঢ্যাঁড়া পেটানো। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে সমাজ থেকে বিদায় নিয়েছে এই ঐতিহ্য। ঢ্যাঁড়া পেটানোর জায়গায় এসে গিয়েছে অত্যাধুনিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। কিন্তু এখনও যে গ্রামবাংলার কোনও কোনও জায়গায় এই ঢ্যাঁড়া পেটানোর প্রচলন রয়েছে, তা টের পাওয়া গেল সোমবার। সোমবার সন্ধ্যায় হুগলি (Hooghly) জেলার পোলবার (Polba) সেঁইয়া এলাকার বেশ কিছু চাষিকে দেখা যায় গ্রামে ঢ্যাঁড়া পিটিয়ে ঘুরতে। আগামীকাল স্থানীয় স্কুলে একত্রিত হতে ডাক দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, গত দু’বছর আগে পোলবার সেঁইয়ায় DVC খালের পারে একটি বাড়ি নির্মাণ করেন স্বপ্না ধারা। চাষিদের অভিযোগ এই বাড়ির জন্য চাষের জমির নিকাশির সমস্যা দেখা দেয়।

Hooghly News : সমবায় সমিতির দেওয়া সার প্রয়োগে বিঘার পর বিঘা আলুগাছ নষ্ট! মাথায় হাত হুগলির চাষিদের
জমিতে জল নিয়ে যেতেও সমস্যায় পড়তে হয় এলাকার বেশ কিছু চাষিকে। দুই পক্ষের বিবাদ আদালত পর্যন্ত গড়ালে আদালত (Court) ওই বাড়ি ভাঙার নির্দেশ দেয়। গত ২৭শে জানুয়ারি পোলবার BDO ও পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে বাড়িটি ভাঙার কাজ শুরু হয়। তবে পর্যাপ্ত লোকজন ও JCB-র ব্যবস্থা না থাকায় ভাঙার কাজ বন্ধ রাখা হয়। আগামীকাল ওই বাড়ি ভাঙার কাজ করা হবে বলে জানান চাষিরা। এর মধ্যে তাঁরা কানাঘুষো শুনতে পেয়েছেন, আবার আদালত স্টে অর্ডার (Stay Order) দিতে পারে বাড়ি ভাঙার কাজে। তাই প্রশাসনকে দ্রুত বাড়ি ভাঙার কাজ শেষ করে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন চাষিরা। পাশাপাশি নিজেরাও একজোট হয়ে তাদের দাবি জানাতে আজ সন্ধ্যায় গ্রামে ঢ্যাঁড়া পিটিয়ে গ্রামবাসীদের অবগত করেন। আগামীকাল যাতে গ্রামবাসীরা ওই স্থানে উপস্থিত হয়।

Mid Day Meal : মিড ডে মিলের খিচুড়িতে আরশোলা! কেন্দ্রীয় দলের রাজ্যে সফরের মধ্যেই অব্যবস্থার ছবি প্রকট
তবে যদি আগামীকাল ওই বাড়ি ভাঙা না হয়, তাহলে বড়সড় আন্দোলনে নামবেন চাষিরা, এমনটাই বলা হয়েছে। তাঁদের হুঁশিয়ারি, ওই নির্দিষ্ট বাড়িটি ভাঙা না হলে চুঁচুড়া তারকেশ্বর ১৭ নম্বর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ চলবে। এই বিষয়ে বিক্ষোভরত এক চাষি জানান, “আদালত থেকে ওই বাড়িটি ভাঙার নির্দেশ বেশ অনেকদিন আগেই দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাও বাড়িটি ভাঙা নিয়ে বেশ গড়িমসি চলছে। এখন শুনছি আদালত আবার বাড়িটি ভাঙার ওপর স্টে অর্ডার দিতে পারে। এমন হলে আমরা খুবই বিপদে পড়ব। তাই আমরা চাই অবিলম্বে এই বাড়িটি ভেঙে দেওয়া হোক”।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *