Kolkata Police : CBI সেজে ভবানীপুরে ৫০ লাখ চুরি, লালবাজারের জালে ‘ডাকাত পুলিশ’ – kolkata police nabbed special branch officer who was the mastermind behind bhowanipore dacoity


সরষের মধ্যেই ভূত। CBI আধিকারিক সেজে ৫০ লাখ টাকার ডাকাতির ছক কষেছিলেন এক পুলিশ কর্মী! ভবানীপুরের দুঃসাহসিক এই কাণ্ডের কিনারা করল কলকাতা পুলিশ। লালবাজারের জালে স্পেশাল ব্রাঞ্চে কর্মরত দেবব্রত কর্মকার। জানা গিয়েছে, ভবানীপুরের ডাকাতির ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড ছিল সে। CBI আধিকারিক সেজে ডাকাতির জন‌্য পুলিশি আদবকায়দা শিখিয়েছিল সাকরেদদের।

New Town : পুলিশি তৎপরতায় বড়সড় ডাকাতির ছক বানচাল, নিউটাউনে ধৃত ৫
কী ভাবে ডাকাতির ছক কষেছিল পুলিশ?

লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা দেবব্রত কর্মকার কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসার। গত ১২ ডিসেম্বর রাতে ভবানীপুরে যে দুঃসাহসিক ডাকাতি হয়, তার পরিকল্পনা করেছিল দেবব্রত। কয়েক সপ্তাহ ধরে ডাকাতদের ট্রেনিং দিয়েছিল সে। পুলিশি আদব কায়দা শিখিয়েছিল। এরপর CBI অফিসার সেজে ডাকাতির ছক কষেছিল এই পুলিশ কর্মী। দেবব্রতর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ভবানীপুরের ওই ব‌্যবসায়ীর এক প্রতিবেশীর। তাঁর কাছ থেকেই ভবানীপুরের ফ্ল‌্যাটে প্রচুর টাকা ও গয়না রাখার খবর পায় দেবব্রত। রাকেশ ও তার সঙ্গীদের কয়েকজনকে আগে থেকেই দেবব্রত চিনতেন। গত অক্টোবর মাস থেকেই দেবব্রতর পরামর্শেই রাকেশ ও ডাকাতদল পুলিশি আদব কায়দা শিখতে শুরু করে। পুলিশ সাজার জন‌্য প্রয়োজন পোশাকও সাপ্লাই করে দেবব্রত।

Nawsad Siddiqui News : টাকার খেলা? চেন্নাইয়ে ব্যবসায়ী-যোগের খোঁজ
কী ভাবে পুলিশের জালে দেবব্রত?

জানা গিয়েছে, প্রায় দেড় মাস ধরে দেবব্রতর উপর নজরদারি রেখেছিল কলকাতা পুলিশ। গোয়েন্দা আধিকারিকদের স্ক্যানারে চলে আস দেবব্রত কর্মকার। তদন্তে উঠে আসে, ভবানীপুরের এক ব‌্যবসায়ীর ফ্ল‌্যাটে CBI আধিকারিক সেজে ঢুকে ৫০ লাখ টাকার নগদ ও গয়না ডাকাতি করে অভিযুক্তরা। প্রথমে ডাকাতির অন্যতম পাণ্ডা রাকেশ মণ্ডল সহ মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার হয় পুলিশ স্টিকার দেওয়া গাড়িও। ধৃত রাকেশকে জেরা করে উঠে আসে দেবব্রত কর্মকারের নাম।

Kolkata Salt Lake : সল্টলেকে ঘর ভাড়া দিয়ে ‘পর্নগ্রাফি’ শ্যুটিং, জালে গেস্টহাউসের ম্যানেজার
তদন্তে উঠে আসে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এক মহিলা কনস্টেবলের নামও। জানা যায়, তার অ‌্যাকাউন্টে জমা পড়েছিল ভবানীপুরের এই ডাকাতির টাকা। আদালতে গোপন জবানবন্দিও দেয় ওই মহিলা পুলিশকর্মী। লালবাজারের গোয়েন্দারা কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলের CCTV ফুটেজে খতিয়ে দেখে এই ডাকাতদলের হদিশ পায়।

কিছুদিন আগেই বড়সড় ডাকাতির (Robbery) ছক বানচাল করেছিল নিউটাউন থানার পুলিশ (New Town Police Station)। নিউটাউন (New Town) যাত্রাগাছি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় পাঁচজনকে। এছাড়াও উদ্ধার হয় বেশ কিছু ডাকাতির সরঞ্জাম। পুলিশ সূত্রে খবর, যাত্রাগাছি পাম হাউস এলাকায় সন্দেহজনকভাবে বেশ কয়েকজনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গেই তাদেরকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কথাবার্তায় অসঙ্গতি ধরা পড়ায় পুলিশ তাঁদের আটক করে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় লোহার বেশ কিছু সরঞ্জাম। ধৃতদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, নিউটাউন (New Town) এলাকার কোনও এক বাড়িতে ডাকাতির উদ্দেশ্য ছিল এদের।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *