Lottery Sambad: ৬ টাকা খরচে কোটির লটারি জয়, ক্লাবের ছেলেদের নিরাপত্তায় হকার লিটন – north 24 pargana residents win 1 crore lottery buying 6 rupee ticket


West Bengal Local News: অবশেষে স্বপ্নপূরণ। মাত্র ছয় টাকার টিকিট বদলে দিল লিটন বিশ্বাসের জীবন। কোটি টাকার লটারি জিতেও বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না মনোহরপুরের বাসিন্দা। কথায় আছে ওপরওয়ালা যখন দেন তখন দু’হাত ভরে দেন। সেই উপমাই সত্যি হল ছোট্ট এক কাপড়ের দোকানের মালিক লিটনের ক্ষেত্রে। তাঁর লটারি জয়ের খবর শুনে অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটালেন পাড়ার ছেলেরা।

টিনের চালের বাড়ি। ছোট এক জামাকাপড়ের দোকান থেকে টেনেটুনে চলল সংসার। ছেড়া কাঁথায় না হলেও বহুদিন ধরেই লটারি জিতে দিন বদলের স্বপ্ন দেখতেন উত্তর ২৪ পরগনা বাগদা থানা এলাকার মনোহরপুরের বাসিন্দা লিটন বিশ্বাস। সেই বাসনা থেকেই সোমবার সন্ধ্যায় ডিয়ার লটারির (Dear Lottery Results) রাত ৮ টার টিকিট কেটেছিলেন । ফলাফল প্রকাশ হতেই ম্যাজিক। যেন যাদুদণ্ডের স্পর্শে দুঃখী রাজকুমারীর সিন্ডারেলা হয়ে ওঠার মতো লিটনের সাদা কালো জীবনও একপলকে হয়ে যায় রঙিন। টানাটানির সংসারে এল কোটি টাকার সম্পদ। কিন্তু, স্বপ্নপূরণ হতেই মনের মধ্যে চেপে বসল ভয়।

Lottery Result: এক টিকিটেই বাজিমাত, কোটি টাকার লটারি জিতে মালামাল ভাঙড়ের সবজি গাড়িচালক

কোটিপতির ভয়

টাকা আসতেই মনের মধ্যে চেপে বসল চুরির ভয়। সবথেকে বড় আশঙ্কা হল ব্যাঙ্কে টাকা আসার আগেই যদি টিকিট খোয়া যায়? কিন্তু কোটিপতি লিট বিশ্বাসের এই ভয় ঘুচোতে এগিয়ে আসে পাড়ার ক্লাবের ছেলেরাই। রাতে তাকে ক্লাবে নিয়ে রাত পাহারা দেয় তারা । এই বিষয়ে ট্যাকের বাজার প্রগতিসংঘের সদস্য প্রশান্ত হালদার জানান, ”সিকিউরিটি স্বার্থে আমরা লিটন বিশ্বাসকে রাতভর পাহারা দিয়েছি । এখনও তার পাশে আমরা আছি যতক্ষণ না পর্যন্ত ব্যাংকের মাধ্যমে সমাধান হচ্ছে ততক্ষণ আমরা ওর পাশে থাকব।”

Lottery Sambad Today : পিতৃবিয়োগের মাঝেই লক্ষ্মীলাভ, লটারিতে কোটিপতি মহিষাদলের টোটোচালক!

কোটি টাকার স্বপ্ন

লিটন বিশ্বাসের ছোট্ট একটি কাপড়ের দোকান আছে ভবানীপুর ট্যাঁকের বাজারে । এক কোটি টাকার লটারির প্রাইজ পেয়ে খুব খুশি লিটন বিশ্বাস । লটারি প্রাপ্তির পর এই টাকা দিয়ে তাঁর দুই ছেলের ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্ন দেখছেন লিটন। তাদের যাতে ভালো করে পড়াশোনা করাতে পারেন সেটাই অগ্রাধিকার তাঁর। তারপর স্ত্রী, মা সন্তান নিয়ে রঙিন দুনিয়া সাজানোর পরিকল্পনা তাঁর।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *