Netai Massacre Case : জামিনে মুক্ত নেতাইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত অনুজ পাণ্ডে, এড়ালেন দলীয় কর্মী -সমর্থকদের বরণ – netai massacre case anuj pandey main accused released on bail from jail


Anuj Pande: নেতাইকাণ্ডে (Netai Massacre) অভিযুক্ত ডালিম পাণ্ডে এবং তপন দের জামিনে মুক্তির পর উচ্ছ্বাসে মেতে উঠতে দেখা যায় সিপিআইএম (CPIM) কর্মীদের। জেল থেকে বের হওয়ার পর রীতিমতো বরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। সেই ছবি সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই তৈরি হয় বিতর্ক। তবে নেতাইকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত অনুজ পাণ্ডের জেল থেকে বেরোনোর দিন দেখা গেল অন্য ছবি। সোমবার সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়েই জেল থেকে প্রস্থান করেন তিনি। দৌড়ে গিয়ে গাড়িতে উঠে পড়েন সিপিএমের এই নেতা। মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার (Medinipur Correctional Home) থেকে সোমবার সন্ধ্যায় জামিনে ছাড়া পান অনুজ পাণ্ডে। গত বৃহস্পতিবার জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিল তপন দে এবং ডালিম পাণ্ডে। সেই দিন অনুজ পাণ্ডের ছাড়পত্র জেল কর্তৃপক্ষের কাছে এসে না পৌঁছনোয় ছাড়া পাননি তিনি। সোমবার ছাড়পত্র আসার পরেই সন্ধ্যায় তাকে ছাড়া হয়। দলের কর্মী সমর্থক এবং নেতৃত্বরা এদিন তাকে স্বাগত জানাতে হাজির হয়েছিলেন মেদিনীপুর সংশোধনাগার এর সামনে।

Netai Massacre : ‘লাল ঝান্ডাই তৃণমূলকে সরাবে’, সিপিএমে আস্থা অটুট নেতাইকাণ্ডে জেলমুক্ত ডালিম-তপনের
কিন্তু জেল থেকে বেরিয়েই একরকম দৌড়ে গিয়ে গাড়িতে উঠে বেরিয়ে যান অনুজ পাণ্ডে। সংবাদমাধ্যমের উপর বিরক্তি প্রকাশ করেন স্থানীয় বাম কর্মী নেতৃত্বরা । নেতাই গণহত্যা মামলায় গত ৩১ জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্ট থেকে জামিন পান অনুজ, ডালিম পাণ্ডে এবং তপন দে। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি সকালে লালগড় এর নেতাই গ্রামে রথীন দন্ডপাটের বাড়ি থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল সিপিএমের বিরুদ্ধে। ৪ জন মহিলা সহ ৯ জনের মৃত্যু এবং ২৯ জন আহত হয়েছিল। ওই ঘটনায় প্রথমে সিআইডি তদন্ত শুরু করলেও পরে সিবিআই তদন্ত শুরু করে। ওই ঘটনায় ১৯ জন গ্রেফতার হন। তার মধ্যে মূল অভিযুক্ত হিসেবে ছিলেন সিপিএম নেতা ডালিম পাণ্ডে, অনুজ পাণ্ডে, ফুল্লরা মণ্ডল, রথীন দন্ডপাঠ, খলিল উদ্দিন চণ্ডী করন। ফুল্লরা মণ্ডল সুপ্রিম কোর্ট থেকে দুমাস আগেই শর্ত সাপেক্ষে জামিন পান।

Netai Massacre : নেতাইকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টে শর্তসাপেক্ষ জামিন সিপিএম নেতা ডালিম-অনুজ-তপনের
নেতাই গণহত্যার ঘটনায় শুরুতেই অভিযোগ ওঠে সিপিএমের এই নেতাদের বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তে নেমে গ্রেফতার করা হয় মোট ২০ জনকে। ফুল্লরা, খলিল উদ্দিন সহ বেশ কয়েকজন মুক্তি পেলেও মুক্তি পাচ্ছিলেন না মূল অভিযুক্তরা। অবশেষে দীর্ঘদিন জেলবন্দি থাকার পর মঙ্গলবার দুপুরে হাইকোর্ট থেকে জামিন পান এই তিন মূল অভিযুক্ত। মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে জামিনের কপি পৌঁছনোর পরেই এই তিনজনকে মেদিনীপুর সেন্ট্রাল কারেকশনাল হোম থেকে ছাড়া দেওয়া হয় বলে খবর সূত্রের।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *