নেতাজি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাসের PG, BLIS, PGJMC, BDP, MLIS এর বিভিন্ন বিভাগের পড়ুয়ারা অনলাইনে পরীক্ষা দিতে চাইছেন। যদিও দীর্ঘক্ষণ হয়ে যাওয়ার পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে কোনও সদুত্তর দেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে পড়ুয়ারা ক্ষিপ্ত হয়ে ইউনিভার্সিটি ভাইস চ্যান্সেলর রঞ্জন চক্রবর্তী সহ বিভিন্ন আধিকারিকদেরকে ইউনিভার্সিটির ভিতরে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এমনকি ইউনিভার্সিটির ভিতর থেকে রেলিং পেরিয়ে যাঁরা বাইরে আসার চেষ্টা করে তাঁদেরকেও আটকে দেওয়া হয় পড়ুয়াদের তরফে। উল্লেখ্য, কোভিড অতিমারির সময় অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো নেতাজি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন অনলাইনে করানো হয়। অতিমারির প্রকোপ কমতে থাকলে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেইমতো প্রস্তুতি শুরু করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে বেঁকে বসেছেন পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, পঠন-পাঠন যেহেতু অনলাইনে হয়েছে, সে কারণে পরীক্ষাও অনলাইনে নেওয়া প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, এর আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়েও অনলাইন পরীক্ষার দাবিতে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ লক্ষ্য করা যায়।
তবে পড়ুয়াদের দাবি মানতে নারাজ নেতাজি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সরকারিভাবে কোনও বিবৃতি দেওয়া না হলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, পড়ুয়ারা অন্যায্য দাবি তুলে এখনও বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। এই সময় আর অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার কোনও যৌক্তিকতা নেই। সব বিশ্ববিদ্যালয় অফলাইনে পরীক্ষা চালু হয়ে গিয়েছে। পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয় এসে বিক্ষোভ দেখিয়ে সময় নষ্ট না করে পড়াশোনার পিছনে সময় দিলে ভালো হত বলে দাবি করেন তিনি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কী সিদ্ধান্ত নেয় সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে পড়ুয়ারা।