কিন্তু পরপর দুবছর করোনার কারণে ফুল চাষে আর্থিক ক্ষতির মুখ দেখতে হয়েছিল। কিন্তু এবার তা যেন পুষিয়ে দিয়েছে। দিল্লি, মুম্বই, পুনে, অহমেদাবাদ সহ ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের বাজারে চন্দ্রমল্লিকার ব্যাপক চাহিদা। আর এই চাহিদার ফলে একটি চন্দ্রমল্লিকা ফুলের দাম যেখানে অন্যান্য বছর এক টাকা থেকে ২ টাকা পেত চাষিরা সেখানে এবছর সেই দাম ছাড়িয়েছে গড়ে পাঁচ টাকা করে। লাভের অংক বেড়েছে চাষিদের। পাঁশকুড়া বিভিন্ন ফুল চাষিরা জানান, এক কাঠা জমিতে চন্দ্রমল্লিকা চাষ করতে খরচ হয় প্রায় ৫ হাজার টাকা। অন্যান্য বছর এক কাঠা জমি থেকে ফুল চাষ করে পাওয়া যেত ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। সেখানে এ বছর এক কাঠা জমিতে চন্দ্রমল্লিকা চাষ করে পাওয়া যাচ্ছে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। ফলে করোনা কালে পর পর দু’বছর ফুল চাষ করে যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছিল, তা পুষিয়ে দিয়েছে এই বছরের ফুল চাষ। চাষিদের অনুমান ১৪ই ফেব্রুয়ারি থেকে এই দাম আরও বাড়বে। এক পিস চন্দ্রমল্লিকার দাম হবে প্রায় ৭ টাকা।
এই শীতকালীন ফুল চাষ লাভজনক হওয়ায় অনেক প্রান্তিক চাষিরা নিজেদের জমি না থাকলেও জমি মালিকের কাছ থেকে জমি লিজে নিয়ে ফুল চাষ করেন। ফুলের বাজারদর ভালো থাকলে লাভের অংক বাড়ে। পাঁশকুড়া পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভবানীপুর গ্রামের এক চাষি জানান, গত ২০-৩০ বছর ধরে ফুল চাষ করছেন। কিন্তু এই বছরের মতন প্রতি পিস চন্দ্রমল্লিকার দাম কখনও দু টাকা ছাড়িয়ে যেতে দেখেননি। এই বছর এখনই পাওয়া যাচ্ছে ৫ টাকায়। তারা আশাবাদী ১৪ই ফেব্রুয়ারি থেকে এই দাম ৬ থেকে ৭ টাকা উঠবে পাইকারি বাজারে। ফুল দিয়েই পাঁশকুড়ার পরিচয়। ফুল থেকেই চাষির ঘরের হাঁড়িতে ফোটে ভাত। এই বছর ফুলের মরশুমে প্রথম থেকেই ফুলের দাম ভালো থাকায় পাঁশকুড়ার ফুল চাষিদের ঘরে ঘরে খুশির জোয়ার ফুটে উঠেছে। রোজ ডে থেকে ভালোবাসার মানুষকে খুশি রাখতে নানা উপহারের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ফুল দিয়ে থাকেন অনেকে। তবে আগামী ১৪ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন ফুলের চাহিদা যে থাকবে তা রোজ ডে থেকেই বোঝা যাচ্ছে।