সম্প্রতি আসানসোল পৌরনিগমের (Asansol Municipal Corporation) ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের রানিগঞ্জের সুন্দরনগর এলাকায় একটি বহুতলের সামনেই অন্যায় ভাবে বোরিং করা হচ্ছে এমন চিত্র সামনে আসে। শুধু এখানেই নয়, আরও বেশ কিছু বহুতল আবাসনে বোরিং করে জল তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। কিন্তু রানিগঞ্জে নিষিদ্ধ বোরিং।
রানিগঞ্জে কেন নিষিদ্ধ বোরিং?
অতীতে রানিগঞ্জ পৌরসভা ছিল। তখনও আসানসোল বৃহত্তর পৌরনিগমের সঙ্গে যুক্ত হয়নি রানিগঞ্জ। সেই রানিগঞ্জ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথ সিপিএম।নেতা রুনু দত্ত জানান, রানিগঞ্জ শহরে অতীতে ব্রিটিশ আমলে কিংবা পরবর্তীকালে বেসরকারিভাবে যে কয়লা উত্তোলন হয়েছে সেই কয়লা উত্তোলনের কোন ম্যাপ নেই। রানিগঞ্জ শহরের নিচে কোন দিক দিয়ে কয়লা খাদান গেছে তা কেউ জানে না। আর তাই সেই অর্থে বালি ভরাট করা হয়নি। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে রানিগঞ্জ শহরের বেশ কিছু অংশের তলায় রয়েছে জল। আর কার্যতই জলের উপরে ভাসছে এই শহর। গরমকালে জল শুকিয়ে গেলে সেই অঞ্চল গুলিতে ধসের ঘটনা ঘটে। অতীতে জেলা শাসক জানিয়েছিলেন, রানিগঞ্জ শহরের জাতীয় সড়কের বাম পাশের এলাকার বিপজ্জনক। আর সেই কারণে আমরা সেই সময় রাণীগঞ্জ পৌরসভা ঠিক করেছিল যে রানিগঞ্জে কোন অবৈধ বোরিং করতে দেওয়া হবে না। কারণ জল তুলে নিলেই শহরের বিপদ বাড়বে। তাই আমরা নিষিদ্ধ করেছিলাম বোরিং। কিন্তু বর্তমানে শুনছি যত্রতত্র বোরিং হচ্ছে এটা শহরের কতটা বিপদ বাড়াচ্ছে বুঝছেন না পৌরকর্তারা।”
বিরোধিতায় বিজেপি
ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। রানিগঞ্জ মন্ডলের বিজেপি সভাপতি দেবজিৎ খাঁ জানান, প্রোমোটাররা অবৈধ ভাবে বোরিং করে জল টেনে নিচ্ছে। ফলে শহরের বিপদ বাড়ছে। পাশাপাশি জলস্তরও নেমে যাচ্ছে নিচে। পুলিশকে জানানো হয়েছে। এখন দেখার পুলিশ কী ব্যবস্থা নেয়। অভিযোগ উঠছে রাতের অন্ধকারে বেশ কিছু প্রোমোটার ভূগর্ভস্থ জল বোরিং করে টেনে নিচ্ছে। অভিযোগ জমা পড়লেও তারপরেও বোরিং এর কাজ অবলীলায় চলতে থাকে। যদিও বিরোধীরা সরব হতেই রানিগঞ্জ এলাকার কাউন্সিলর তথা আসানসোল কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পরিষদ দিব্যেন্দু ভগত বোরিং এর কাজ বন্ধ করা নির্দেশ দেন। তিনি সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেবেন বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু বারবার একই ঘটনা শহরের জন্য বিপস বাড়াচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ।