সূত্রের খবর অনুযায়ী, ওই অঞ্চলে একটি বিশেষ ধর্মীয় আলোচনার জলসা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। তার আগে এই ধরনের পোস্টার ঘিরে যথেষ্ট চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও আয়োজক কর্তৃপক্ষ এবং এলাকাবাসীরা জলসার সঙ্গে এই পোস্টারের কোনও যোগসাদৃশ্য খুঁজে পাচ্ছেন না। বরং তাদের অভিযোগ, কেউ বা কারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে ধর্মীয় পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে। কারা এই ধরনের কাণ্ড করছে, তা সিসি ক্যামেরা খতিয়ে দেখে তদন্ত করে খুঁজে দেখুক পুলিশ প্রশাসন, দাবি আয়োজকদের। এই বিষয়ে আয়োজকদের তরফে এক সদস্য জানান, “এই এলাকায় আব্বাস সিদ্দিকির একটি বিশেষ ধর্মীয় আলোচনা রয়েছে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। আমরা এই ধরনের পোস্টার লাগাইনি। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হোক। আমাদের এই জলসা নিছকই এক ধর্মীয় অনুষ্ঠান”।
যদিও রাজপুত পাড়ার সম্মুখে ওই এলাকা ছাড়া, আর কোথাও ওই ধরনের পোস্টার পড়েছে কিনা তা জানা যায়নি। তবে পোস্টারটি যথেষ্ট বড় এবং উন্নত অত্যাধুনিক প্রিন্টিং মেশিনে প্রস্তুত করা হয়েছে। যা থেকে অনেকেই আন্দাজ করছেন একাধিক পোস্টার ছাপার বিষয়। পোস্টারে শুধুমাত্র লেখা রয়েছে ‘ভাইজান বাংলার বাঘ’। তবে এই প্রসঙ্গে আজ শান্তিপুরের তৃণমূল নেতা বৃন্দাবন প্রামানিক সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “শান্তিপুরে এর কোনও প্রভাব নেই। কারন মানুষ আব্বাসকে চেনে না সেই অচেনা ব্যক্তির নামে যদি ‘বাংলার বাঘ’ ব্যবহার করা হয় তাহলে তৃণমূলের কিছু যায় আসে না”।