এই ঘটনার পর থেকে এলাকা থেকে চম্পট দিয়েছে ওই যুবক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই ওই যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। সামান্য সত্তর টাকা কারণে এমন ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে অবাক এলাকার বাসিন্দার। এই ঘটনায় আহত দোকানের মালিকের স্ত্রী গায়ত্রী দে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘ওই ছেলেটির থেকে থাকা টাকা পেত আমার স্বামী। টাকা না দেওয়ার কারণে আমার স্বামীর গায়ে গরম তেল ঢেলে দেওয়া হয়েছে। খারাপভাবে আমার স্বামীর দেহ পুড়ে গিয়েছে। আমরা চাই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আমার স্বামী এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি।’ এই ঘটনায় আক্রান্ত বৃদ্ধের ছেলে প্রসেনজিৎ দে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বরসাতের থেকে আমি ৭০ টাকা পেতাম। সকালের আমাদের দোকানে খেল। আমি পয়সা চেয়েছিলাম। সেই নিয়ে তর্কাতর্কি হয়। আমার বাবা তখন বলে, ব্যবসার সময় এখানে চেঁচামেচি করিস না। টাকা দিতে হবে না। সেই সময় গরম তেলের কড়াইয়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।’
প্রতিবেশী দোকানের মালিক উত্তম কুমার শাইনি বলেন, ‘মিষ্টির দোকানের পাশেই আমার দোকান। ওই ছেলেটির সঙ্গে দোকান মালিকে চেঁচামেচি শুনে আমরা বাইরে বেরিয়ে আসি। টাকা পেত কিন্তু ছেলেটি দেয়নি। এই নিয়ে তর্কাতর্কি হতে হতে গরম কড়াইয়ের তেলে ছেলেটি ওই বয়স্ক মানুষটিকে ধাক্কা দেয়। তখন তাঁর গায়ে তেল পড়ে। গরম তেলে উনি আহত হয়েছেন। আমরা তাঁকে বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসাপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। এখন উনি সেখানে ভর্তি রয়েছেন। আমার চাই কড়া ব্যবস্থা নিক প্রশাসন।’