এছাড়াও পূর্ব ঘোষণা মতো হাতির হামলায় মৃতের পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার দাবিতে তাঁরা সরব হয়েছেন। পাশাপাশি হাতির হানায় ধান চাষে ক্ষতি হলে বিঘা প্রতি ১০ হাজার টাকা ও সবজি সহ অন্যান্য চাষে ২০ হাজার টাকা সরকারী ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। দাবি পূরণ না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারী দিয়েছেন সংগ্রামী গণমঞ্চের সদস্যরা। এই বিষয়ে সংগ্রামী গণমঞ্চের সম্পাদক শুভ্রাংশু মুখার্জী বলেন, “বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা জঙ্গলমহলের মধ্যে পড়ে। আর এই জঙ্গলমহলে অনেক হাতির বাস। অনেক সময় পার্শ্ববর্তী জেলা বা রাজ্যের জঙ্গল থেকেও হাতি ঢুকে পড়ে আবাসিক এলাকায়। বিপদে পড়েন মানুষজন। বেঘোরে প্রাণ হারাতে হয় তাঁদের। অনেক সময় প্রানে বাঁচলেও ঘরবাড়ি নষ্ট হয়, জমির ফসল নষ্ট হয় হাতির হামলায়। সেইসব মানুষদের পাশে দাঁড়াতেই আজ আমাদের এই ডেপুটেশন কর্মসূচি”।
এই প্রসঙ্গে বাঁকুড়া উত্তর বন বিভাগের DFO উমর ইমাম বলেন, “আমাদের কাছে যা খবর, তাতে এই মুহূর্তে জেলায় ৭২ টি হাতি রয়েছে। যার মধ্যে একটা বড় অংশ বড়জোড়া বনাঞ্চলে অবস্থান করছে। গত বছর ৩ জনের ও চলতি বছরে ৪ জনের হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছে”। এছাড়াও তিনি বলেন, “ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। তবে মৃতের পরিবারের একজনকে চাকরী দেওয়ার বিষয়টি আমার আওতাধীন নয়”। যদিও ক্ষতিপূরণ কোন ডিপার্টমেন্টের আওতাধীন, সেই বিষয়ে কোনও কথা শুনতে রাজি নয় সংগ্রামী গণমঞ্চ। তাঁদের বক্তব্য, হাতির হামলায় কোনও মৃত্যু বা ক্ষয়ক্ষতি হলে সেই দায় বন দফতর বা রাজ্যে সরকারকেই নিতে হবে।