পাশাপাশি, রাজ্য সরকারি কর্মীদের অপর যৌথ মঞ্চ কো-অর্ডিনেশন কমিটির তরফে ১৭ তারিখ বিধানসভা অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারি কর্মচারি পরিষদের তরফে দফতরে দফতরে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে। ১০ তারিখ তারা খাদ্য ভবনে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছে। রাজ্য সরকারি কর্মচারি পরিষদের তরফে দেবাশিস শীল বলেন, “আমরা DA নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আইনি লড়াই লড়ছি। রাজ্য সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। রাজ্য সরকার মহার্ঘ্যভাতা মেটানোর জন্য কোনও সদর্থক ভূমিকা পালন করছে না।”
প্রসঙ্গত, DA নিয়ে লড়াই গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্তও। উল্লেখ্য, গত বছর ২০ মে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ DA সংক্রান্ত মামলায় রাজ্য সরকারি কর্মীদের পক্ষে রায় দিয়েছিল। তিন মাসের মধ্যে বকেয়া DA মিটিয়ে ফেলতে হবে, নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এমনটাই। এরপর অবশ্য এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেই পুর্নবিবেচনার আর্জি জানানো হয়েছিল রাজ্যের তরফে। পরে অবশ্য মামলাটি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছিল। গত বছর DA মামলা ছেড়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। এরপর মহার্ঘভাতা মামলা দীনেশ মাহেশ্বরী এবং হৃষীকেশ রায়ে ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যায়। উল্লেখযোগ্যভাবে, DA নিয়ে রাজ্যের মনোভাব সদর্থক, এমনই মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী মানস ভ্যুঁইয়া। তিনি বলেছেন, “রাজ্যকে বকেয়া পাওনা দিচ্ছে না কেন্দ্র।”