জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, এই দুদিনে প্রায় দেড় হাজার রোগীকে পরিষেবা দেওয়া হবে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। দায়িত্বে থাকছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্য শংকর সারেঙ্গী সহ একাধিক জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। নতুন এই প্রকল্পটিকে সুষ্ঠুভাবে চালাতে গঠন করা হয়েছে ছয়টি সেল। ইনফ্রাস্ট্রাকচার সেল, অ্যাকোমোডেশন সেল, ট্রান্সপোর্ট সেল, কোঅর্ডিনেশন সেল প্রভৃতি। পরিষেবার সুষ্ঠুভাবে দেওয়ার জন্যই এমন পরিকল্পনা বলে খবর জেলা প্রশাসন সূত্রে।
তবে এই প্রকল্প নিয়েও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Elections)। আদিবাসী অধ্যুষিত কেশিয়াড়ি এলাকাকেই কেন বেছে নেওয়া হলো ? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। উল্লেখ্য, গত পঞ্চায়েত ভোটে এই কেশিয়াড়িতেই জোর ধাক্কা খেয়েছিল তৃণমূল। ব্লকের নটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে পাঁচটি দখল করেছিল BJP। পঞ্চায়েত সমিতি ও সংখ্যাগরিষ্ঠতা BJP-র ছিল ঝুলিতে। সমিতির ২৫ টি আসনের মধ্যে ১৩ টি পায় BJP, বাকি বারোটির দখল নেয় তৃণমূল। স্বভাবতই এমন ফলে আশঙ্কার কালো মেঘ দেখে শাসক শিবির। পঞ্চায়েতের ফলাফল দেখেই কেশিয়াড়িতে ছুটে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ঢালাও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিও দিতে দেখা যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। তবে এত কিছুর পর দীর্ঘ পাঁচ বছর কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত গঠন করা সম্ভব হয়নি কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতি। এ নিয়ে বারবার শাসক দলকে বিঁধেছে BJP।
জেলা BJP-র সহ-সভাপতি অরূপ দাসের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে দুর্নীতির থেকে নজর ঘোরাতে এমন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। তাঁর কথায়, “যারা সাধারণ পঞ্চায়েত সমিতি গঠন করতে দেয় না, তারা আবার মুখে উন্নয়নের বুলি আওড়ায়।” পালটা জবাব দিয়েছেন জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি। তাঁর দাবি, “প্রান্তিক মানুষদের পরিষেবা নিয়ে সরকার যথেষ্ট উদ্যোগী। সাধারণ মানুষের উন্নয়নকল্পে নেই বিজেপি তাই ওঁদের এই গা জ্বালা।”