ECL Duragpur : ফের অণ্ডালের বিস্তীর্ণ খনি অঞ্চলে ধস, ইসিএলের পাম্প হাউসে ভাঙচুর – duragpur land slide in coal mining area ecl pump house vandalization by people


ECL : ফের বিস্তীর্ণ খনি অঞ্চলে ধস অণ্ডালের মুকুন্দপুর এলাকায়। আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। উত্তেজিত গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ অস্থায়ী ইসিএল ক্যাম্পের (ECL Camp) সামনে। ভাংচুর চালানো হল পাম্প হাউসে। বন্ধ কোলিয়ারিতে জল নিকাশি পাম্প বসানোর কারণেই ধস নেমেছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। গ্রামবাসীদের উত্তেজনা প্রশমনে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, সোমবার থেকে মুকুন্দপুর এলাকার একটি পরিত্যক্ত খনি রয়েছে যা ২০১৮ সাল থেকে বন্ধ। সেই খনিতে জল নিষ্কাশনের জন্য পাম্প লাগানো হয়েছিল। গতকাল পাম্প লাগানোর পরে হঠাৎই ধসের ঘটনা সামনে আসে। আনুমানিক মুকুন্দপুর (Mukundapur) ৪ নম্বর কোলিয়ারির কোড়া পাড়ার চল্লিশ মিটার দূরে ধসের ঘটনা ঘটে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পাম্প লাগানোর ফলেই ধসের ঘটনা ঘটেছে এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দা সুমিতা কোড়া ও সীমান্ত কোড়া জানান, বন্ধ কোলিয়ারিতে জল নিষ্কাশনের জন্য যে পাম্প লাগানো হয়েছিল সেই কারণেই এলাকায় ধস নেমেছে।

Mamata Banerjee : ‘রানিগঞ্জে যে কোনও মুহূর্তে ধস…’, বর্ধমান থেকে ফের আশঙ্কা প্রকাশ মমতার
অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা এই এলাকায় বাস করছেন। কিন্তু ধসের ঘটনা এই প্রথম সামনে এল তাঁদের। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। উত্তেজিত গ্রামবাসীরা এসে বুধবার সকালবেলা ইসিএলের অস্থায়ী পাম্প হাউসে বিক্ষোভ দেখায়। ভাঙচুর চালায় পাম্প হাউস। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় কোলিয়ারি চত্বরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। বছর দুয়েক ধরে অণ্ডালের হরিশপুর গ্রামে ধসের আতঙ্কে আতঙ্কিত বাসিন্দারা গ্রামছাড়া। ইসিএলের দরজায় দরজায় ঘুরেও মেলেনি পুনর্বাসন। তাই আজও বাধ্য হয়েই আতঙ্কের মধ্যেই ওই এলাকায় বাস করতে বাড়ি ফিরছেন গ্রামের বেশ কিছু মানুষ। এর মধ্যেই অণ্ডালের পড়াশকোল এলাকায় ধসের ঘটনা সামনে আসে। বুধবার আবার ধসের ঘটনা সামনে এল অণ্ডালের মুকুন্দপুর ৪ নম্বর কোড়াপাড়া এলাকায়। একের পর এক এলাকায় ধস নামার কারণে বেজায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা।

Raniganj Land Slide: মুখ্যমন্ত্রীর সতর্কবাণীর পরে ফেরেনি হুঁশ, যত্রতত্র কূপ খননে আরও ধস কবলিত রানিগঞ্জ
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জানুয়ারি পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার অণ্ডাল থানার অন্তর্গত মদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধান্ডাডিহি গ্রামের থেকে আনুমানিক ১০০ মিটার দূরে একটি শুকিয়ে যাওয়া পুকুরে হঠাৎ করেই ধস নামে। ধসের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। পরের দিন ধস (Landslide) আরও বড় আকার নেওয়ার কারণে গোটা গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসীদের তরফে ইসিএল কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানানো হয়। অভিযোগ পাওয়ার পর, ইসিএলের কাজোড়া এরিয়ার পক্ষ থেকে ধস কবলিত স্থানটিতে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়নি বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এই ঘটনায় ইসিএলের দিকে আঙুল তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *