অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা এই এলাকায় বাস করছেন। কিন্তু ধসের ঘটনা এই প্রথম সামনে এল তাঁদের। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। উত্তেজিত গ্রামবাসীরা এসে বুধবার সকালবেলা ইসিএলের অস্থায়ী পাম্প হাউসে বিক্ষোভ দেখায়। ভাঙচুর চালায় পাম্প হাউস। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় কোলিয়ারি চত্বরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। বছর দুয়েক ধরে অণ্ডালের হরিশপুর গ্রামে ধসের আতঙ্কে আতঙ্কিত বাসিন্দারা গ্রামছাড়া। ইসিএলের দরজায় দরজায় ঘুরেও মেলেনি পুনর্বাসন। তাই আজও বাধ্য হয়েই আতঙ্কের মধ্যেই ওই এলাকায় বাস করতে বাড়ি ফিরছেন গ্রামের বেশ কিছু মানুষ। এর মধ্যেই অণ্ডালের পড়াশকোল এলাকায় ধসের ঘটনা সামনে আসে। বুধবার আবার ধসের ঘটনা সামনে এল অণ্ডালের মুকুন্দপুর ৪ নম্বর কোড়াপাড়া এলাকায়। একের পর এক এলাকায় ধস নামার কারণে বেজায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জানুয়ারি পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার অণ্ডাল থানার অন্তর্গত মদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধান্ডাডিহি গ্রামের থেকে আনুমানিক ১০০ মিটার দূরে একটি শুকিয়ে যাওয়া পুকুরে হঠাৎ করেই ধস নামে। ধসের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। পরের দিন ধস (Landslide) আরও বড় আকার নেওয়ার কারণে গোটা গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসীদের তরফে ইসিএল কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানানো হয়। অভিযোগ পাওয়ার পর, ইসিএলের কাজোড়া এরিয়ার পক্ষ থেকে ধস কবলিত স্থানটিতে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়নি বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এই ঘটনায় ইসিএলের দিকে আঙুল তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।