West Bengal Local News: কলেজের তিনতলা থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত ছাত্রী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জলপাইগুড়িতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, ধূপগুড়ির সুকান্ত মহাবিদ্যালয়ে (Dhupguri Sukanta Mahavidyalaya) এই ঘটনাটি ঘটেছে। কলেজ সূত্রে খবর, ওই ছাত্রী ফাস্ট সেমিস্টারের কলা বিভাগের পড়ুয়া। ঘটনা নজরে আসার পরেই কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে গুরুতর জখম ওই ছাত্রীকে ধুপগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি (Jalpaiguri Super Speciality Hospital) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। কলেজের অশিক্ষক কর্মী মন্টু রায় জানিয়েছেন বিষয়টি নজরে আসার পরেই তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। কলেজ ও পড়ুয়াদের সূত্রে জানা গিয়েছে এদিন কলেজে ফাস্ট সেমিস্টারের পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ অ্যাসাইনমেন্ট জমা নেওয়ার কাজ চলছিল। এই ছাত্রীটি অ্যাসাইনমেন্ট জমা করার জন্য কলেজে এসেছিলেন। তখন সে কীভাবে সেখান থেকে নীচে পড়ে গেল সেই নিয়ো ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ঘটনা জানার পরেই হাসপাতালে আসেন ধূপগুড়ি থানার আইসি সুজয় তুঙ্গা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Tilak Chowdhury : ‘প্রথম সারিতে ছিলাম…’, ১০ বছর পর আক্ষেপের সুর অধ্যক্ষ নিগ্রহে অভিযুক্তের কলেজের অশিক্ষক কর্মী মন্টু রায় এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার হঠাৎ করে জানতে পারলে কলেজ ছাত্রী তিনতলা থেকে পড়ে গিয়েছেন। কলেজ কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা অশিক্ষক কর্মচারী ও কলেজের ছাত্রছাত্রীরা তাঁকে হাসাপাতালে নিয়ে এসেছি। কীভাবে সে পড়ে গেল তা আমি বলতে পারব না। আমি তখন অফিসের মধ্যে ছিলাম। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আমরা বাইরে বেরিয়ে আসি। এখন সে অনেকটাই ভালো রয়েছে বলে মনে হচ্ছেন।’
Jiaganj Nursing College : অরিজিৎ সিংয়ের পরিদর্শন করে আসা জিয়াগঞ্জের নার্সিং কলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড অন্যদিকে কলেজের চতুর্থ সেমিস্টারের পড়ুয়া কমলা মণ্ডলও এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি এই মেয়েটিকে চিনিও না। হঠাৎ করে ওপর থেকে এই ছাত্রীটি এসে পড়ে। আমার পায়ের সামনে এসে পড়ে। প্রথমে ওই ছাত্রীটির কাছে গিয়ে দেখি তাঁর মুখটি রক্তে ভরে গেছে। এর পরেই অন্যরা ছুটে আসে। তাঁর বান্ধবীরা জানিয়েছে, সে নাকি অন্যমনস্ক হয়ে ছিল। এদিকে ছাত্রীটির মাথায় এবং থুতনিতে আঘার রয়েছে। আমি জানি মেয়েটির নাম মাধবী বসুনিয়া। মেয়েটি শিলিগুড়িতে বাড়ি, এখানে সে মামাবাড়িতে থাকে। মেয়েটি এখনও কথা বলতে পারছে না, তাঁর চোখ থেকে শুধু জল পড়ছে।’