স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুকুর খনন নিয়ে গোটা ঘটনার সূত্রপাত। নিজস্ব পুকুরে ভুয়ো মাস্টাররোল তৈরি করেন প্রধান লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করেছিল তারই প্রতিবাদে নিশংসভাবে খুন করা হয় বিজেপি কর্মী ধনঞ্জয় সরকারকে। তৃণমূলের প্রধানও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে ওই বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগ ওঠে। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঝেমধ্যে ওই বিজেপি কর্মীকে খুনের হুমকি দেওয়া হতো। ২৭ শে অক্টোবর রাত্রিবেলা স্থানীয় কালীপুজোর মেলা থেকে ফিরছিলেন ধনঞ্জয়বাবু। তারপর স্থানীয় আমবাগান থেকে রাতে তাঁর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের অভিযোগ তৃণমূলের প্রধাণেই নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করেছে। গাজোল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। মৃতের ছেলে পরিতোষ সরকার বলেন, ‘পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেও কোনও ব্যবস্থা হয়নি। সেই কারণে আমরা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছি। প্রধানের দুর্নীতির প্রতিবাদ করার জন্যই বাবাকে খুন করা হয়েছে। আমরা সুবিচার চাই।’
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এই নিয়ে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিজেপি। উত্তর মালদা বিজেপির সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, ‘তৃণমূলের পঞ্চায়েতের দুর্নীতির প্রতিবাদ করতে গিয়ে ধনঞ্জয় সরকারকে খুন হতে হয়েছে। ঘটনার চার মাস পার হয়ে গেল এখনও কোনও তদন্ত শুরু হয়নি। আমরা মৃত পরিবারের পাশে রয়েছি। যদি এরপরও পুলিশ কোনরকম কোন ব্যবস্থা না নেই তাহলে আমরা দীর্ঘ আন্দোলন ও উচ্চতর আদালতে যাব।’ বিজেপির যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। এই প্রসঙ্গে মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, ‘পুলিশ সঠিক তদন্ত করছে। আমাদের বাংলায় সব ঘটনারই তদন্ত করা হয়। গোটা ভারতবর্ষের মধ্যে সবথেকে শান্তিপূর্ণ এই পশ্চিমবাংলায় বিরাজ করছে। বিরোধীরা তাদের কাজই হচ্ছে আমাদের সমালোচনা কর তারা বলবে।’ মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার জানিয়েছেন খুনের ঘটনার তদন্ত সঠিকভাবেই এগোচ্ছে। এই খুনের তদন্তে একজন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে আশা করা যায় দ্রুত খুনের কিনারা করবে পুলিশ।