সেই বাইক অনায়াসে বিক্রি করত বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছে। চুরি করা বাইক গুলি (Bike Theft) একেবারে কম দামে বিভিন্ন জেলায় নিয়ে গিয়ে তা বিক্রি করা হত। গোপন সূত্রে সেই কথা জানতে পেরে দাসপুর থানার (Daspur Police Station) পুলিশ ফাঁদ পেতে বসে। আর দাসপুর থানা পুলিশের সেই পাতা ফাঁদেই পা দিল এক চোর। সেখান থেকেই পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। দাসপুর থানার পুলিশ ধৃত ওই চোরকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদে একের পর এক তথ্য পুলিশের কাছে ফাঁস করে ওই ধৃত চোর। ধৃত ওই চোরের তথ্য অনুসারে দাসপুর থানার পুলিশের চক্ষুচড়কগাছ হয়ে যায়। এক মুহূর্ত দেরি না করে একেবারে কোমর বেঁধে নেমে পড়ে দাসপুর থানার পুলিশ।
দাসপুর থানার পুলিশের টানা অভিযানে উদ্ধার হতে থাকে একের পর এক চুরি যাওয়া বাইক। তাদের কাছ থেকে একাধিক বাইক উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। সেখান থেকে আটক করা হয়েছে এক জন ব্যক্তিকেও। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ওই চোরের বাড়ি দাসপুর থানার সুরতপুর এলাকায়। নাম অভিজিৎ মন্ডল। আরেক ব্যক্তির নাম সুরজ আলী। সে গড়বেতা থানা এলাকার বাসিন্দা। ইতিমধ্যেই ধৃত ওই চোরেদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। আজ তাদের তোলা হয় ঘাটাল মহকুমা আদালতে। দাসপুর থানার এমন ভূমিকাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষজন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বাইক চুরি গ্যাংয়ের সঙ্গে আরও বেশ কিছু লোক জড়িত। তদন্তের মাধ্যমে সবাইকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। উদ্ধার হওয়া বাইকগুলির আসল মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।