এক পর্যটত বলেন, ‘আমার গ্যাংটকে যাওয়ার ছিল। এখানে কোনও বাস বা গাড়ি চলছে না। আমরা ভেবেছিলাম আজ রওনা দিলে কাল গ্যাংটকে পৌঁছে যাব। কিন্তু, এখানে এসে দেখালাম খুবই খারাপ অবস্থা। ওখানে স্কুলে আমাদের অ্যাসেসমেন্ট রয়েছে। কাল একবার চেষ্টা করে দেখব যদি গ্যাংটক পৌঁছতে পারি।’ গণপরিবহণ বন্ধ থাকার কারণে অনেকেই সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। পর্যটকদের আশঙ্কা এই কারণে গাড়িভাড়াও লাগামছাড়া ভাবে বাড়তে পারে। এক মহিলা পর্যটক বলেন, ‘আমাদের গ্যাংটকে যাওয়ার কথা ছিল। আমার একদিনের জন্য হঠাৎ করে প্ল্যান করে এখানে এসেছিলাময। কিন্তু আমরা জানতাম না যে এখানে বনধ চলছে। এখানে দেখলাম বাস বন্ধ। আমরা দুই মেয়েকে নিয়ে অপেক্ষা করছি। আমাদের হাতে সময় খুবই কম, কারণ শুক্রবারের মধ্যে পড়তে হবে। বাচ্চাদের খুবই সমস্যা হচ্ছে এইভাবে রাস্তার মধ্যে বসে থাকতে। এখান দেখা যাক অন্য কোনওভাবে পৌঁছনো যায় কি না।’
নাগরিক ফোরাম বা জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির আন্দোলনের জেরে পর্যটন ব্যবসা বড় থাক্কা লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সিকিমের শাসক দল সিকিম ক্রান্তিকারি মোর্চাও এই বনধকে সমর্থনের কথা জানিয়েছে। সিকিমে এখনও পর্যটকদের ভিড় রয়েছে। আগামী দিনে আরও পর্যটকরা সিকিমে ভিড় করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। শিলিগুড়ি থেকে অনেক গাড়ি পর্যটকদের নিয়ে সিকিম যাতায়াত করেন। এই বনধের কারণে অনেক পর্যটক বুকিং বাতিল করতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে। আগামী দিনে সিকিমের আন্দোলন পরিস্থিতি কোনদিকে যায়, সেটাই এখন দেখার।