পাশাপাশি এদিন ন্যাশনাল ফ্যামিলি বেনিফিট স্কিম বা NFBS প্রকল্পে ৫৯ জন উপভোক্তার হাতে ২৪ লাখ টাকা তুলে দেওয়া হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার পুরসভার (Cooch Behar Municipality) চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ (Rabindranath Ghosh) জেলা শাসক পবন কাদিয়ান, পুলিশ সুপার সুমিত কুমার সহ পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা।
উপভোক্তাদের কাছে অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা ঢুকে গেলেও এদিন অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে প্রত্যেক উপভোক্তাকে একটি করে গাছের চারা দেওয়া হয়। এদিন অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ (Rabindranath Ghosh) বলেন, “এই দুই প্রকল্পে উপভোক্তাদের সমস্ত টাকাই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কাগজপত্রের সমস্যার জন্য আরও কিছু উপভোক্তা বাদ পড়েছেন। পরবর্তীকালে তাঁদের এই প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হবে।” জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলার সমস্ত পঞ্চায়েতকেই বলা হয়েছে তাদের ‘রিজার্ভ ফাণ্ড’ থেকে দ্রুত ওই দুই প্রকল্পের কাজ শেষ করার উপর জোর দিতে। আবাস যোজনায় পাকা বাড়ি তৈরির বকেয়া কাজ দ্রুত শেষ করার পাশাপাশি ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে কাজে গতি আনতে বলা হয়েছে।
২০২০ সালের মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে করোনা পরিস্থিতির কারণে কাজের গতি কমে গিয়েছিল। করোনা পরিস্থিতির উন্নতির পর ফের ওই কাজে গতি আসার পরে গত বছর নভেম্বর মাসে ২০১৯-২০, ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ আর্থিক বছর মিলিয়ে আবাস যোজনায় জেলায় তৈরি হওয়া মোট ১ লক্ষ ৯২ হাজার পাকাবাড়ির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছিল। আবাস যোজনার উপভোক্তা তালিকার বাইরে থাকা গরিব মানুষদের পাকাবাড়ি তৈরির জন্য ‘আবাস প্লাস’ যোজনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২০১৮ সালে সমীক্ষার ভিত্তিতে ওই প্রকল্পের উপভোক্তা তালিকা তৈরির কাজ হয়েছিল।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, আবাস যোজনায় পাকাবাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯৮ শতাংশ কাজ হয়েছে। বাকি কাজ শেষ করতে প্রতিটি পঞ্চায়েতকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে সব গরিব পরিবার রয়েছে তাদের চিহ্নিত করতে সমীক্ষা চলছে। ওই তালিকায় গরিবদের ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে পাকাবাড়ি তৈরির জন্য অর্থ সাহায্য করা হবে।