Bishnupur Tourism : বিষ্ণুপুরে মল্ল রাজাদের তৈরি ঐতিহ্য ‘গুমঘর’-এর পাশে লজ নির্মাণ! কড়া প্রশাসন, দ্রুত ভাঙার নির্দেশ – bishnupur lodge situated beside gumghar municipality ordered to vandalize


Bishnupur Temple : মল্ল রাজাদের নির্মিত পুরাতাত্ত্বিক নির্দশন বিষ্ণুপুরের ‘গুমঘর’ (Bishnupur Gumghar)। পর্যটকদের (Tourists) কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। ব্যবসায়িক মুনাফা লাভের জন্য তারই উলটোদিকে লজ তৈরি করা হয়। লজ নির্মিত হয়েছে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে, এমনটাই দাবি পুরসভার। দু’বার নোটিশ দিয়ে সতর্ক করার পরেও কোনও ভ্রুক্ষেপ না করায় আগামী ১৫ দিনের মধ্যে লজটি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিল বিষ্ণুপুর পুরসভা। কিন্তু প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে কীভাবে একটি লজ তৈরি হয়ে গেল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন এলাকাবাসীরা। মল্ল রাজাদের অমূল্য কীর্তি ‘গুমঘর’এর সামনে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিল বিষ্ণুপুর পুরসভা। শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার সংশ্লিষ্ট ওই বেসরকারি লজ মালিককে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নির্মাণ কাজ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Bankura News: বকেয়া ৭০ টাকা চাইতে গরম তেলের কড়াইয়ে ধাক্কা! বাঁকুড়ার মিষ্টির দোকানে তুলকালাম
বিষ্ণুপুর পুরসভা (Bishnupur Municipality) সূত্রে খবর, পুরসভাকে না জানিয়ে ‘গুমঘর’-এর উলটোদিকে ওই নির্মাণ করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা জনৈক অসীম সরকার নামে এক ব্যক্তি ওই লজ তৈরি করেন। পুরসভার কথায়, যা সম্পূর্ণ বেআইনি। এই অবস্থায় ইতিপূর্বে দু’বার নোটিশ দেওয়া হয়। এদিন পুর আইন U/S-২১৮ অনুযায়ী তৃতীয়বারের জন্য নোটিশ দেওয়া হল। ওই গুমঘর এলাকাতেই জোড় বাংলো, শ্যাম রায় মন্দির সহ একাধিক প্রাচীন স্থাপত্য রয়েছে। প্রচুর দেশি-বিদেশি পর্যটক এই স্থাপত্য দর্শনের টানেই ছুটে আসেন এখানে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর দয়াল পাত্র বলেন, “বিষয়টি আমার নজরে আসতেই পুরসভাকে জানিয়েছি। পুরসভা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।” বিষ্ণুপুর পুরসভার পুরপ্রধান গৌতম গোস্বামী এ বিষয়ে বলেন, “পুর আইন অনুযায়ী ওই অবৈধ নির্মাণকারীকে তৃতীয় বারের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে ওই বেআইনী নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” আর তা না হলে পুর আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

Bankura News : সরকারি হোমে আবাসিক ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার! নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন
বিষ্ণুপুর শহরের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে মল্ল রাজাদের নির্মিত একাধিক নিদর্শন। এর মধ্যে কয়েকটি স্থাপত্য রয়েছে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের অধীনে। তবে এগুলি মধ্যে ‘গুমঘর’ নেই। তবে এর কাছাকাছি রয়েছে বিষ্ণুপুরের অন্যতম আকর্ষণ শ্যামরায় মন্দির এবং জোড় বাংলা মন্দির। বেশ কয়েক বছর আগে মহকুমা প্রশাসন জোড় শ্রেণি মন্দিরের কাছে কংক্রিটের নির্মাণ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। তারপরেও নির্মাণের অভিযোগ ওঠায় ক্ষুব্ধ শহরের বাসিন্দাদের একাংশ। প্রশাসন থেকে কয়েক বছর আগে এই জায়গাটি সাফ করে ‘গুমঘর’ বলে চিহ্নিত করে বোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছে। জায়গাটি সমান আকর্ষণীয় পর্যটকদের কাছে। এর পাশেই কংক্রিটের নির্মাণ করে ঐতিহাসিক গুরুত্ব জলাঞ্জলি দিতে নারাজ পুরসভা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *