সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান মথুরাপুর থানার পুলিশ। তবে কে বা কারা বাগানের মধ্যে বোমাগুলো লুকিয়ে রেখেছিলেন সে বিষয়ে কিছুই জানেন না লিয়াকত লস্কর। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন মথুরাপুর থানার পুলিশ। লিয়াকতের স্বামী আনোয়ারা লস্কর বলেন, “বাড়ি থেকে খাওয়া-দাওয়া করে বের হয়েছিল। এরপর বাগানে কাজ করতে গিয়ে এরকম ঘটনা। আমরা জোরে বোমা ফাটার শব্দ পাই। তবে ও কোনও ঝামেলার সঙ্গে জড়িত নয়। ওখানে কে বা কারা বোমা লুকিয়ে রেখেছিল, আমরা কেউ জানি না।” তবে গোটা ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা, রাতের অন্ধকারে কোনও দুষ্কৃতী বাগানের ভিতরে গিয়ে বোমা লুকিয়ে রেখে এসেছিল। সেটি ফেটে গিয়েই এই বিপত্তি ঘটে। বোমার কারণে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। দ্রুত দোষীদের খুঁজে বের করার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জেলায় জেলায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার অন্ত নেই। গত ৪ ফেব্রুয়ারি বাসন্তীর (Basanti) ভারতীর মোড়ে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে জখম হন তিনজন স্থানীয় বাসিন্দা। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে বিস্ফোরক তথ্য। জানা যায়, তৃণমূলের একটি সভাকে কেন্দ্র করেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ হয় কিছুদিন আগে। তার রেশ ছিল দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায়। তার জেরে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য হাবিবুল্লার বাড়িতে বোমাবাজি হয়েছিল বলে অভিযোগ। এর বিরুদ্ধে বাসন্তী থানায় (Basanti Police Station) অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপরেই বাসন্তী বোমা বিস্ফোরণেকাণ্ডে মনিরুল খাঁ নামে এক তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
