উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণের কিছু বিশেষ প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন হয় এদিন। এদিন এই অনুষ্ঠানে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী থেকে বারাসত জেলা পুলিশ (Barasat Police) সুপার রাজনারায়ণ মুখার্জি, খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রী রথীন ঘোষ (Minister Rathin Ghosh) সহ জেলা প্রশাসনিক আধিকারিক এবং নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।
এদিন এই অনুষ্ঠান থেকে সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেলও প্রদান করা হয়। এই বিষয়ে রাজ্যের মন্ত্রী রথীন ঘোষ জানান, “আজ রাজ্য সরকারের সব প্রকল্পগুলির জেলা পর্যায়ের টোকেন হিসাবে কিছু কিছু দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হাওড়ায় এটা প্রথম শুরু করবার পরে সব পুরসভা, ব্লকগুলি কেও দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু জেলা পর্যায়ে একটা টোকেন হিসাবে দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মত আজকে রাজ্যের সমস্ত জেলা জুড়ে প্রায় ৬ লাখ মানুষকে এই পরিষেবা দেওয়া হয়েছে।” এছাড়াও মন্ত্রী রথীন ঘোষ আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার মানেই উন্নয়নের সরকার, মানুষের সরকার। তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) ক্ষমতায় আসার পরে বিগত ১১ বছরে রাজ্যের কোটি কোটি মানুষ প্রচুর উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। এখনও পাচ্ছেন। ভবিষ্যতেও পাবেন। আজকে বারাসত বিদ্যাসাগর ক্রীড়াঙ্গনে সেইরকমই একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।”
এদিন হাওড়া জেলার পাঁচলায় এক সভায় উপস্থিত থেকে সরকারি প্রকল্পের সূচনা ও শিলন্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন হাওড়ায় ৫৯টি প্রকল্পের শিলন্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। এখান থেকেই তিনি তুলে ধরেন রাজ্যের উন্নয়নের খতিয়ান। ২০২৪ সালের মধ্যে সব বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে রাজ্য সরকার, এদিন মঞ্চ থেকে একথা জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও তিনি বলেন, দুয়ারে সরকারে ৯ কোটি দরখস্ত জমা পড়েছে, তার মধ্যে ৭ কোটি পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, হাওড়ায় ৫ হাজার শিল্পে ৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে, যা সাম্প্রতিককালে নজিরবিহীন।