ধৌলা গিরি (Dhaula Giri) ও এভারেস্টের (Mt. Everest) পর বিশ্বের পঞ্চম ও দশম পর্বতশৃঙ্গ মাকালু ও অন্নপূর্ণা শৃঙ্গ বিনা অক্সিজেনে জয় করবে বলে মন বেঁধেছেন তিনি। সেই লক্ষ্যেই আগামী মাসের ৭ মার্চ, ২০২৩ আরোহণ করবে চন্দননগরের পিয়ালি বসাক। ইতিমধ্যেই সামিট করার অনুমতি পত্র চলে এসেছে তাঁর কাছে। যদিও তাঁর মাথার উপর বিপুল টাকা ঋণের বোঝা। তারপরও সে এগিয়ে যেতে চায়। এর আগে বহু মানুষ ও সংস্থা আর্থিকভাবে সাহায্য করেছিল পিয়ালিকে।
এবারেও তাঁর আশা, যদি কোনও সংস্থা, কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার পিয়ালির এই পর্বত আরোহণে এগিয়ে আসে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু সংস্থার কাছে আবেদন করেছে পিয়ালি। রাজ্য সরকারের কাছে মুখ্যমন্ত্রী ও ক্রীড়া মন্ত্রীর সঙ্গে আবেদন জানিয়েছেন। সাধারণ মানুষের কাছে তাঁর আবেদন যেভাবে মানুষ আগে তাঁর পাশে দাঁড়িছে এই দুঃসাহসিক অভিযানেও পাশে থাকুক। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার তার দিকে হাত বাড়িয়ে দিক।
গত বছর ১১ জুন এভারেস্ট জয় করে বাড়ি ফেরেন তিনি। ২২ মে এভারেস্ট জয় করেছিলেন পিয়ালি। তার দু’দিন পরই আবার লোৎসে জয় করেন। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে চন্দননগরে বাড়িতে পৌঁছন তিনি। কৃত্রিম অক্সিজেন (Oxygen) ছাড়াই পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গে পৌঁছন চন্দননগরের (Chandannagar) পিয়ালি। যদিও তাঁর এই যাত্রাপথ একেবারেই সফল ছিল না। একাধিক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে। সব প্রতিকূলতাকে হারিয়ে এভারেস্ট জয় করেন তিনি। পিয়ালি আগেই জানিয়েছিলেন, বাবা মা বোন সবার নামে লোন নেওয়া রয়েছে তাঁর। ২০১৮ থেকে সুদ বেড়ে ৪০ থেকে ৪৫ লাখে পৌঁছে গিয়েছে।
এভারেস্টের সময় আর লোন নিতে পারেননি। মানুষের উপর ভরসা রেখেছিলেন। চন্দননগরের মানুষ, রাজ্যের মানুষ ,দেশের মানুষ পাশে দাঁড়ানোয় পর্বত আরোহণ করতে পারেন। ৮ লাখ টাকা বাকি থাকায় এই অভিযানের সার্টিফিকেট আটকে ছিল বলেও জানান তিনি। তার জন্যই রাজ্য সরকারের কাছে পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি।