ঘটনাটি ঘটেছে তমলুক (Tamluk) ব্লকের নিকাশী মহেশ্বর জিউ হাইস্কুলে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, নিকাশী মহেশ্বর জিউ হাইস্কুলে গতকাল বুধবার সরস্বতীর পুজোর (Saraswati Puja) খাওয়া দাওয়া অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বুধবার বেঁচে যাওয়া খাবার এদিন দুপুরে হস্টেলে থাকা ছাত্রদের মধ্যে পরিবেশন করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তারপর থেকেই পায়খানা, বমি সহ একাধিক উপসর্গ নিয়ে ছাত্ররা অসুস্থতা বোধ করে।
হস্টেলে থাকা প্রায় ৫০ জন ছাত্রের মধ্যে ১৬ জন অসুস্থতা বোধ করে। একজন ছাত্রকে তড়িঘড়ি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করতে হয়। স্কুলে আসে ব্লক প্রশাসনের মেডিকেল টিম (Medical Team)। পরে বিকেলের দিকে আরও তিনজন ছাত্রকে চিকিৎসার জন্য স্কুল থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও সমস্ত বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষকেরা, এমনই অভিযোগ উঠেছে। এমনকি খবর সংগ্রহে যাওয়া সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের মোবাইল কেড়ে নেওয়া থেকে ধাক্কা দেওয়া, সমস্ত কিছুই করেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। স্কুলের প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার দাস প্রথমে সাংবাদিকদের দেখে ছুটে পালান। তারপর স্কুল চত্বর থেকে সাংবাদিকদের ধাক্কা দিয়ে স্কুলের মূল দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন।
এই বিষয়ে স্কুলের হস্টেলের এক আবাসিক ছাত্র জানায়, “স্কুলের হস্টেলের খাবারের মান একেবারেই ভালো না। রাঁধুনিরা কোনোমতে রান্না করে চলে যান। আর এদিন তো কালকের বাসি খাবারই খাইয়ে দেওয়া হল। আমরা এই বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানাবো।” খবর পেয়ে হস্টেল চত্বরে ছুটে আসেন কয়েকজন আবাসিক পড়ুয়ার অভিভাবক। স্কুল চত্বরেই তাঁরা ক্ষোভ ঝেড়ে দেন। এক অভিভাবক বলেন, “ছেলের থেকে এই হস্টেলের খাবারের মান নিয়ে মাঝে মধ্যেই অভিযোগ পাই। কোনও কোনও সময় ছেলেরা বাইরে গিয়েও খাবার খেয়ে আসে। হঠাৎ করেই কোনও কোনও সময় রান্না বন্ধ করে দেওয়া হয়। গতকালের বাসি খাবার যে আজ খাইয়ে দিল, সেই বিষয়ে ভাবতেই পারছি না আমরা। প্রশাসনিক মহলে এই বিষয়ে অভিযোগ জানাবো।”