যদিও এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, ‘দু’সপ্তাহের মধ্যে বিশদ তথ্য-সহ কমিশন হলফনামা জমা দেবে আদালতে।’ তাতে অবশ্য নিয়োগ সমস্যার সমাধান আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের মনে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থী দীপাঞ্জন পোদ্দার ও পৌলমী হাজরার অভিযোগ, ২০১৫ সালের ১৬ অগস্ট উচ্চ প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা হয়েছিল। ২০১৬ সালে ১৪,৩৩৯ শূন্যপদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। অথচ ২০২৩-র ফেব্রুয়ারিতেও সেই নিয়োগ অধরা। যোগ্য প্রার্থীরা ধর্মতলায় অবস্থান-বিক্ষোভ-ধর্নায় বসেছেন। বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য অনিয়ম ও অস্বচ্ছতার কারণে ২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর প্রথম দফার নিয়োগ প্যানেল বাতিল করে পরের বছরই ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ফের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন এসএসসি আবার নতুন করে ওএমআর শিটে অসঙ্গতির কথা জানিয়েছে। নিয়োগে তাই ফের বিলম্ব।
উচ্চ প্রাথমিকের বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা ইতিমধ্যে ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে ২২৮ দিন ধরে অবস্থান-ধর্নায় বসেছেন। তাঁদের তরফে হবিবুল্লা শেখ জানান, আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার দুপুর ১২টায় শিয়ালদহ থেকে মিছিল ধর্মতলা যাবে। শহিদ মিনারে দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত সমাবেশ হবে। হবিবুল্লার কথায়, ‘আমাদের দাবি, ৯ বছর ধরে যেহেতু নিয়োগ হয়নি, তাই নিয়োগের গেজেট বিজ্ঞপ্তি মেনে শূন্যপদ আপডেট করে চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের ব্যবস্থা করা হোক।’